প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় লাঠি-সোঠা নিয়ে ইটপাকটেল নিক্ষেপ করে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যধাপক মো. রেজাউল করিম ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন- কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর এ ইয়াসিন নোবেল সহ উভয় পক্ষের মামুন, আব্দুল আলী,সোলায়মান, কবির হোসেন, মাসুদ মিয়াসহ ১০জন কর্মী আহত হয়। বাকি আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদেরকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যধাপক মো. রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
তবে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপক্ষের লোকজন সেখানেই অবস্থান করেন। এসময় রেজাউল করিমের লোকজন স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে মান্নানের কর্মী মোবারক হোসেন উত্তেজিত হয়ে সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর এ ইয়াসিন নোবেলকে কিলঘুষি দিয়ে আহত করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় ইটের আঘাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ উভয় পক্ষের মামুন, আব্দুল আলী,সোলায়মান, কবির হোসেন, মাসুদ মিয়াসহ ১০জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে সংঘর্ষের ফলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় মেলা পণ্ড হয়ে গেছে। আহত সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর এ ইয়াসিন নোবেল বলেন, রেজাউল করিমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্নভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই। সেখানে স্লোগান দেওয়ার এক পর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে।
এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর বলেন, জাতীয় দিবসে ন্যাক্কারজনক ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে মান্নানের লোকজন। এমন হামলার ঘটনা নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে অবশ্যই কেন্দ্রে মান্নানের বিরুদ্ধে নালিশ দেওয়া হবে।সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, রেজাউল করিমের লোকজন শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে উষ্কানিমূলক কথা বলার কারনে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করার কারনে আমাদের লোকজন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।