প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ একজন বিকৃত রুচির সমাজবিধ্বংসী, ইসলামবিদ্বেষী এবং হেফাজত গণহত্যার সমর্থনকারীকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। বুধবার (১৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই অন্তর্বর্তী সরকরে নতুন করে বিতর্কিত উপদেষ্টা নিয়োগে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
চরমোনাই পীর প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশে কি যোগ্য ও সৎ মানুষের অভাব ছিল যে, ফ্যাসিস্টদের দোসর বিকৃত রুচির সমাজবিধ্বংসীকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে? একজন বিতর্কিত লোককে অন্তর্বর্তী সরকারে অন্তর্ভূক্তি করায় পুরো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। একজন সমাজ বিধ্বংসী ইসলামবিরোধী এবং খুনীদের সহযোগী উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভূক্ত করায় দেশের শান্তিকামী দেশপ্রেমিক জনতা চরমভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
তিনি আরও বলেন উপদেষ্টা পরিষদের নতুন উপদেষ্টা চিত্রনির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার নির্মিত নাটক ও সিনেমার মাধ্যমে সমাজে পরকিয়া, সমকামীতা এবং বিকৃত রুচির প্রসারে সমাজ বিধ্বংসী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের চরম বিরোধী এমন একজন বিকৃত রুচির মানুষ জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সরকারের উপদেষ্টা হতে পারেন না। তাছাড়া সরয়ার ফারুকী ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরে নিরীহ হেফাজত কর্মীদের উপর আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের চালানো গণহত্যার একজন সমর্থক।
তিনি একজন চিহ্নিত শাহবাগী এবং পতিত সরকারের দোসর।তার নিয়োগে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা হচ্ছে কিনা তা নিয়েও জনমনে সংশয় ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানান পীর চরমোনাই। চরমোনাই পীর বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অবিলম্বে অপসারণ করে যোগ্য ও দেশপ্রেমিক সৎ লোককে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানান।