শেখ হাসিনা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে তর দায় আ.লীগের সবার ওপর পড়ে না : জিএম কাদের

0
শেখ হাসিনা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে তর দায় আ.লীগের সবার ওপর পড়ে না : জিএম কাদের

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ শেখ হাসিনা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে তার দায় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর ওপর পড়ে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা শেখ হাসিনার এসব অন্যায়ের পক্ষে ছিল না। সুতরাং আমি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন,রাষ্ট্রবিরোধী বা সন্ত্রাসী কোনো কর্মকাণ্ড না থাকলে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারেও আমাদের একই মতামত ছিল।

জিএম কাদের বলেন, শেখ হাসিনার গণহত্যার দায় তার দলের সব নেতাকর্মীর ওপর বর্তায় না। অপরাধ করে থাকলে বিচার করেন, অবিচার যেন না হয়। তিনি বলেন, আর কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা কখনোই ছিলাম না। শেখ হাসিনার মতো একই কাজ যেন এই সরকার না করে, সমতা রেখে রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এর আগে গত ১২ অক্টোবর জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে জিএম কাদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপে জাতীয় পার্টির ডাক না পেলে কোনো আপত্তি থাকবে না।

কিন্তু দলের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে তা বিব্রতকর। তিনি বলেন, সরকারের গঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্কারে আমরা সহযোগিতা করছি যাতে সঠিক পথে চলতে পারে। সরকার চাইলে আমরা বিভিন্ন কাজে তাদের পরামর্শ দেব। কিন্তু হঠাৎ করে সংলাপে না ডাকলে আমাদের আপত্তির কারণ নেই। তবে আপত্তি হলো আমাদের দোষারোপ করে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ১৪, ১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরকারের দোসর বলা হচ্ছে। এ অভিযোগ সঠিক নয়। ১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ২৭০ প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু আমার এবং আমার ভাইয়ের (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।

আমাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমি গ্রহণ করিনি। নির্বাচনে বাধ্য করতে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সিএমএইচে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবুও জাতীয় পার্টি নির্বাচন বর্জন করেছিল। পরে রওশন এরশাদসহ কয়েকজনকে জোর করে সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here