প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক :ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সময়কালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুরজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ১৯৯০ এর সৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্র নেতা এবং ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সময়কালে আন্দোলনেও বার বার কারা নির্যাতিত নেতা ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপুকে হত্যা চেস্টার দায়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) এম শামসুল হকের ছেলে মতলব উত্তরের সুগন্ধি গ্রামের আনিছুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মতলব উত্তর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ মঞ্জু, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল আলম জর্জ ও ছেংগারচর পৌরসভার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী’সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ জনকে আসামি করে ১লা অক্টোবর মতলব উত্তর থানায় মামলাটি করেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু।
এই মামলায় ৬ জনের নাম উলেখ করে অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের সময় কেন্দ্রীয় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপুকে হত্যা চেষ্টা করেন ও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় এবং একইদিন তার নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, লুটতরাজ ও ভাঙচুর করে এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাদেরই মামলায় আসামি করা হচ্ছে।
মামলার বাদী ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বহুবার ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপুর উপর আক্রমণ ও বাড়িতে হামলা হয়। নিরাপত্তার অভাবে সেই সময়ে থানায় মামলা করা সম্ভব হয়নি তবে অনলাইনের মাধ্যমে সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ হয়েছিল।
মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ইউনুছ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১ লা অক্টোবর ২০২৪ মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের হয় মামলা নং ১ তারিখ ১-১০-২০২৪। এতে এজাহার নামীয় ৬ জন এবং অজ্ঞাত ১৫ জনের মতো আসামি রয়েছে। তিনি বলেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রহমান টিপুকে হত্যা চেষ্টার মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানতে পেরেছি।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।