প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁদপুর:বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বীর শহীদদের স্বরনে ও সাবেক প্রধনমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৭৯ তম জন্মদিন ও তার রোগমুক্তি কামনায় মতলব উত্তর উপজেলায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ আগস্ট শুক্রবার বিকালে মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দোয়ার অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আক্তার হোসেন মুন্সির সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল গনি তপাদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড.ফজলুল হক সরকার হান্নান।
বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক জিতু, সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সরকার,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মঞ্জুর আমীন স্বপন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রাশেদুজ্জামান টিপু,প্রথম যুগ্মআহবায়ক ফয়সল সোহেল,উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক আব্দুল মান্নান সাগর,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নুরুল হুদা ফয়েজী,ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নান্নু মিয়া গাজী,উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জয়নাল পাটোয়ারী পিনু,উপজেলা যুবদল নেতা মমিন মিয়া,ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নাজমুল হোসেন গাজী,উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মসাধারন সম্পাদক নুরে আলম অপু,ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেওয়ান জাকির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে না, তারা জনগনের কল্যানে কাজ করে। বিগত দীর্ঘ্যসময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় শেখ হাসিনার বন্দিশালায় বন্ধি ছিলেন। বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়া মৃত্যু পথযাত্রী। খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা, শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে আরো বলেন, হুলিয়া মাথায় নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে, মামলা খেয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের অনেক ভাই মিছিলে সভা-সমাবেশে শহীদ হয়েছেন। তারপরও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা ধৈর্য্য ধরেছি। বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামীলীগের ১৬ বছরের দুঃশাসনে সরকার ও তাদের সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে অসংখ্য গুম-খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে যা আপনারা নিশ্চই জানেন।তারা আয়না ঘরের মাধ্যমে তাদের বিরোধী মতের গুরুত্বপূর্ন লোকদের আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করার মাধ্যমে তাদের জীবন শেষ করে দিয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে গিয়ে এই জালিম সরকার কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। কিন্তু গুলিকরে হাজার হাজার ছাত্র জনতা হত্যা করেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ছাত্র জনতার ভয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কেউ চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করতে চাইলে ঐকবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।