প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ রাজধানীর কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ আটজনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (২৮ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে শুক্রবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো পূর্বক মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
আদালত শুনানির জন্য আজকের (রবিবার) দিন ধার্য করেন। রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম ও বিএনপির সমর্থক মাহমুদুস সালেহীন। আসামিদের মধ্যে ভিপি নুর সেতু ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় এবং আসামি রিজভী পল্টন মডেল থানার মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রয়েছেন।
এছাড়া অপর ছয় আসামি বিটিভি ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন। এর আগে গত ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন।
এ মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ৫/৬ হাজার আসামি উল্লেখ করেন। এ মামলায় গ্রেফতার ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খানসহ ছয়জন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনরত দল ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে ৫/৬ হাজার দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন- রামদা, দা, কুড়াল, শাবল, কাটার, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়।
তাদের অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুরে মেট্রোরেল স্টেশনের ১০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুল থানার আওতাধীন অংশে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।