প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা সংবাদদাতা: বাগেরহাটে চিতলমারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম অহিদুজ্জামান।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন ও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন এই প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ঘোষণায় আশান্বিত হয়ে তিনি চিতলমারি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ কাউকে দলীয় মনোনয়ন না দিলেও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু অশোক কুমার বড়াল নিজেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রচার করছে। এতে করে নির্বাচনী এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা জনগণকে ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য নৌকা প্রতীক না দিয়ে নির্বাচন মুক্ত ঘোষণা করেছেন। সব প্রকার প্রচার মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচন কমিশন, দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। এ অবস্থা জেলার চিতলমারী উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোট চাইতে গেলে ভোটাররা বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী অশোক কুমার বড়ালে এমপি মনোনয়ন দিয়েছেন। আমাদের ভোট তো আপনার কোনো কাজেই আসবে না।
অশোক কুমার বড়াল তার লোকজনকে নিয়ে ভোটারদের বলেন আমাকে ভোট দিলে এমপি সাহেবকে ভোট দেয়া হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা একই কথা বলে তার পক্ষে ভোট চাইছেন। দলীয় মনোনয়নের এই অসত্য তথ্য-নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায়। আমার জানামতে এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের কোনো পছন্দের প্রার্থী নেই। তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। এ ধরনের প্রচারণা জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
তিনি জানান, চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে অশোক কুমার বড়ালের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি কেউ এই নির্দেশ অমান্য করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় অশোক কুমার বড়াল একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, টিআর, কাবিখা পানির ট্যাংকি, জনগণের টাকা, বিভিন্ন ভাতাধি প্রদানে স্বজন প্রীতিসহ লুটের রাজত্ব কায়েম করছে। এদের কারণেই বিগত দিনগুলিতে সরকারের উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হয়েছে।
এ সব অরাজকতা সিন্ডিকেট ভেঙে চিতলমারী অবমুক্ত করার লক্ষ্যে নির্বাচন করতে এসেছিলাম। নির্বাচন কমিশনারের কাছে এসব অনিয়ম সম্পর্কে বারবার আবেদন করার পরেও কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনী পরিবেশ বিবেচনা করে নির্বাচন বর্জন করছি।