ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজারে আগুন

0
ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজারে আগুন

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘিরে ভিড় জমে উঠেছে রাজধানীর বিভিন্ন মসলার বাজার। কয়েকটি মসলার দাম কমলেও বাজারে যেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আগুন। ঈদ সামনে রেখে বাহারি রান্নার অন্যতম উপকরণগুলোর দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। মসলার প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ২০ টাকা থেকে বেড়েছে ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত।

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর আশেপাশের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের আগে ইন্ডিয়ান জিরা কেজিপ্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা কমে এখন ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে শাহী জিরা আর ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি জিরা।রমজানের আগে ৬০০ টাকার কেজির রাঁধুনি কেজিপ্রতি ২০০ টাকা কমে এখন ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মেথি ১৬০ টাকা কেজি, পাঁচফোড়ন ২২০ টাকা কেজি, চীনাবাদাম ১৮০ টাকা কেজি, কাজুবাদাম ১৩০০ টাকা কেজি, পেস্তাবাদাম ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজি, ত্রিফলা ১৬০ টাকা কেজি, জয়ফল ১৩০০ টাকা কেজি, তেজপাতা ১২০ টাকা কেজি, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ১২০ টাকা কেজির ধনিয়া কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকায়, ১২০ টাকা কেজির সরিষা ১৪০ টাকায়, ৫০০ টাকা কেজি দরের কিশমিশ কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা, ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজির গোল্ডেন এলাচ কেজিপ্রতি ২৮০০ টাকা, ২ হাজার ২০০ টাকা কেজির বড় এলাচ কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৬০০ টাকা, ৯০০ টাকা কেজির গোলমরিচ ১ হাজার ১০০ টাকা, ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজির লবঙ্গ কেজিপ্রতি ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার টাকা, ৩ হাজার ৬০০ টাকার কেজির জয়ত্রি কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা বেড়ে ৪ হাজার টাকা, ১ হাজার ২০০ টাকার পোস্তদানা কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার টাকা, ৫০০ টাকা কেজির আলুবোখারা ৬০০ টাকা, ৪০০ টাকা কেজি দারুচিনি ৬০০ টাকা, ২৮০ টাকা কেজির খোলা হলুদের গুড়া ৩৬০ টাকা, ৪০০ টাকা কেজি খোলা মরিচের গুড়া ৫০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকা কেজির কালো এলাচ কেজিপ্রতি ২ হাজার ৬০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাসাবো কাঁচা বাজারের এক মসলা বিক্রেতা বলেন, ঈদের প্রতিটি মসলায় অনেক দাম বেড়েছে। রাতারাতি কেজিপ্রতি ২শ থেকে ২ হাজার টাকার পার্থক্য তৈরি হয়েছে। আমরা যেমন দামে কিনে আনি তেমনভাবেই বিক্রি করতে হয়। দাম বাড়ানো বা কমানোতে আমাদের তো হাত নেই। মসলা কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, আমরা প্রতিবছর বড় হাঁড়িতে গরুর মাংস একসাথে বেশি করে রান্না করি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মাংসের মসলা বেশি প্রয়োজন হয়। মাংস ছাড়াও ঈদের নানা আয়োজনে মসলা তো লাগেই। কিন্তু বাজারে মসলার যে দাম তা রীতিমতো ভয়ানক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here