প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোট কেন্দ্রে ছবি তুলতে পর্যবেক্ষক এবং সংবাদকর্মীদের অনুমতি লাগবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাটের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) মিলনায়তনে প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন সিইসি।এর আগে তিনি নগরের এলজিইডি মিলনায়তনে চট্টগ্রামের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা ফুটে উঠবে মিডিয়ার মাধ্যমে। কারণ মিডিয়ার কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরেও থাকবেন এবং ভেতরে থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে না। তারা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ভেতরে ঢুকে সব ছবিই তুলতে পারবেন। সত্য-মিথ্যা জনগণকে জানাতে পারবেন।প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সিইসি বলেন, সকালে আমরা প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের বক্তব্য শুনেছি।
তাদের প্রতি আমাদের যে নির্দেশনা ছিল সেটি জানিয়েছি। প্রার্থীরা আমাদের জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো মোটামুটি ভালো। পোস্টার ছেড়াছেড়ি, নির্বাচনী প্রচারণার অফিসে কেউ হয় তো আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এ রকম কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা তারা বলেছেন। বেশিরভাগ প্রার্থী রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ প্রশাসনের প্রতি সন্তুষ্টি জানিয়েছেন।ভোট চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রে কোনো পেশিশক্তির উদ্ভব হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন ভোটের মাঝখানে যদি কোনো পেশিশক্তির উদ্ভব ঘটে, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বলা হয়েছে তিনি ভোট বন্ধ করে দেবেন।
তিনি যদি বন্ধ না করেন রিটার্নিং অফিসার অবহিত হলে তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি বন্ধ না করেন, আমরা ঢাকা থেকে অবহিত হলে বন্ধ করে দেব।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতিতে অনেকে কালো টাকার বিনিময় পেশাদার কিছু সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করেন। তারা যাতে ভোটকে প্রভাবিত না করতে পারে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। সবমিলিয়ে আমরা এটুকুই বার্তা দিয়েছি যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেকোনো মূল্যে যে কোনোভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।
তিনি আরও বলেন আমরা একটি অ্যাপস তৈরি করেছি, যেখানে দুই ঘণ্টা পরপর প্রতিটি কেন্দ্রের কত শতাংশ ভোট পড়ল তা সেখানে ইনপুট দেওয়া হবে। মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাপস ডাউনলোড করে সেটি সবাই জানতে পারবেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে দশটার সময় দেখা গেল ১০ শতাংশ ভোট পড়ল। কিন্তু ১২টার দিকে গিয়ে হঠাৎ ৮০ শতাংশ হয়ে গেল। এটি বিশ্বাসযোগ্য হবে না। এজন্য আমরা বিভিন্ন পরিমাপক নিয়েছি, যাতে ভোটগ্রহণের সত্যতা মানুষের মাঝে ফুটে ওঠে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও জেলা পুলিশ সপুবার এসএম শফিউল্লাহ প্রমুখ।