প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ডেস্ক নিউজ: নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও আস্থার জায়গা তুলে ধরতে মিডিয়াকে (গণমাধ্যমকর্মীদের) কোনোভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।তিনি বলেন, মিডিয়াকে কোনোভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। স্বচ্ছতা, ট্রান্সফারেন্সি প্রতিষ্ঠিত হবে ভিজিবিলিটির মাধ্যমে। মিডিয়া যে ছবিগুলো তুলবে ও বক্তব্য নেবে তা প্রচার হলে দেশের জনগণ দেখতে পাবেন।
এ কারণে আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে ভোটকেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশটা ভোটারদের অনুকূলে রাখতে হবে। কোনোভাবেই কোন পেশিশক্তির ব্যবহার ভোটকেন্দ্রে থাকবে না, জোর জবরদস্তি থাকবে না। যারা ভোটার তারা এসে অত্যন্ত সুন্দরভাবে নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে।মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান প্রমুখ।গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেটা সত্য সেটাই প্রকাশ করবেন। যদি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সত্যিকার অর্থে ভোটটা যদি উত্তম হয় সেটা বলবেন। আর যদি ভোটটা অত্যন্ত মন্দ হয় তাহলে মন্দটাই বলবেন।
অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে যদি সত্যটা জানতে পারে বিশ্বাস করে তাহলে ভোট নিয়ে জনগণের আস্থার যে সংকট সেটা থেকে আমরা উত্তীর্ণ হতে পারব। এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র এবং কক্ষে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে না। এ সময় ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলো জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের মূল বার্তাটা হচ্ছে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হতে হবে।
আমরা বলেছি যেকোনো প্রকারে এটা নিশ্চিত করতে হবে। যারা ভোট দিতে চাইছেন, তারা ভোট দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে না, নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারছেন, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন_এ বিষয়টা নিশ্চিত করতে যারা প্রশাসনে আছেন তাদের এক ধরনের দায়িত্ব।সিইসি আরও বলেন, যারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকবেন তাদের দায়িত্বটা ভিন্ন। আর যারা বাইরে থাকবেন তারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।
ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রিসাইজিং অফিসার এবং তার অধীনে সহকারী প্রিসাইজিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ প্রার্থীদের পক্ষে পোলিং এজেন্ট থাকবেন। সকলের উপস্থিতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। কোনোভাবেই কোনো ভোটারকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। ভোটার যেন নির্বিঘ্নে এসে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের মাঠে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে রংপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে রংপুর জেলার ছয়টি আসনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৩৬ প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।