টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের পদত্যাগ

0
টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের পদত্যাগ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন টেকনোক্র্যাট কোটার দুইজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর ছয়জন উপদেষ্টা। রবিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তারা এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এ নিয়ে আগামীকাল সকালে মন্ত্রিপরিদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। পদত্যাগ করা মন্ত্রীরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

এছাড়াও মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আছেন ৬ জন। তারা হলেন—তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।এবার নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার কাটছাট করা হবে না বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের প্রচার উপ-কমিটির বৈঠকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে সরকার র‌য়ে‌ছে সেই সরকা‌রই নির্বাচনকালীন সরকার হবে। ত‌বে এখানে কোনো টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও উপ‌দেষ্টা থাকতে পারবে না।গত ৩১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত, কানাডা, ইংল্যান্ডে যেভাবে হয় সেভাবে হবে। আরপিও ডিক্লেয়ার করার পর মন্ত্রীরা কোনো সুযোগ ব্যবহার করতে পারবে না। প্রার্থী হিসেবে ভোট করতে হবে।

২০১৮ তেও তাই হয়েছিল। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হলে কোনো মন্ত্রী ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে না। শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে।গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে।

সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে। ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি।তফসিল ঘোষণার ভাষণে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক মতানৈক্যের সমাধান প্রয়োজন। আমি সকল রাজনৈতিক দলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, সংঘাত পরিহার করে সমাধান অন্বেষণ করুন। সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here