প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পীর আবদুল মান্নান: রাজধানীতে বৃষ্টির বাগড়ায় কোরবানির পশুর হাটে পড়ে গেছে দাম। এ নিয়ে নানা শঙ্কায় পশু বিক্রেতারা। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম বলছেন না কেউই। তাই বৃষ্টি কমার আশায় রয়েছেন পশু বিক্রেতারা। তারা বলেন, বৃষ্টি হলে দাম পড়ে যায়, আবার রোদ উঠলে দাম বাড়ে।
বুধবার (২৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভিড় নেই বললেই চলে। এতে মৌসুমি ব্যবসায়ী ও খামারিরা আর্থিক লোকসানে পড়েছেন। অনেকে বিক্রি না করে রাগে-ক্ষোভে পশু খামারে নিয়ে গেছেন। গাবতলী ও আফতাবনগর গরুর হাটের কয়েকজন বেপারির সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।এদিকে গরু লালন-পালনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাইলেও কমে বিক্রি করতে পারছেন না বলে জানান বিক্রেতারা।
খামারিরা বলেন, আমার গরুরে ১৮০০, ১৯০০ টাকা বস্তা মাঝে দাম বাড়ায় ২২০০ টাকা বস্তায় ভুসি খাওয়াইছি। মোট ৫ লাখ টাকাখাওনেরই খরচ গেছে। আমি লিখে রাখছি। তার ওপর আরও অন্যান্য খরচ আছে। ঢাকায় আনতে খরচ গেছে। এখন দামই কয় ৫ লাখ টাকা। তারা (ক্রেতারা) তো মনে করে গরুর এত দাম হয় কেমনে। দাম তো গরুর না, গরু পালতে খরচ। ওইটার দাম দিবো না।গরুর বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, একদিনের মধ্যে গরু প্রতি দাম পড়েছে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
আরও বড় লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন ক্রেতাহীন বড় গরুর মালিকরা। এই পড়তির বাজারে অবশ্য কোরবানির পশু কিনে খুশি ক্রেতারা। ইমাম হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, চারটি গরু নোয়াখালী থেকে নিয়ে এসেছি। একটি গরুর তিন লাখ টাকা লসে মাত্র চার লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বাকি গরুগুলো সন্ধ্যার মধ্যে বিক্রি না হলে ফেরত নিয়ে যাব। রাজশাহী থেকে আসা লোকমান হোসেন বলেন, অনেক ব্যবসায়ী মিলে এখানে এসেছি।
আমার জোড়া গরু রয়েছে, এক একটি গরুর ওজন ৩৫ থেকে ৪০ মণ। যার দাম চেয়েছি ১৫ লাখ টাকা। এখনও পর্যন্ত দাম উঠেছে মাত্র ৭ লাখ টাকা। লোকমান হোসেন ভাবছেন গরু ফেরত নিয়ে যাবেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আর কোনদিন গাবতলীর হাটে গরু আনব না। আমার এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। গরু বিক্রি না করলে কিভাবে এটি শোধ করব তা নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার হাটে গরুর দাম বেশি হবে এমনটাই ধারণা করে রেখেছিলেন বিক্রেতারা।