দেশের পাইকারি বাজারে চালের দাম কমলেও প্রভাব নেই খুচরা বাজারে

0
দেশের পাইকারি বাজারে চালের দাম কমলেও প্রভাব নেই খুচরা বাজারে

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিউজ ডেস্ক:দেশের বিভিন্ন বাজারে চলতি মৌসুমে বোরো ধান উঠছে। এতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে মোকামগুলোতে। তবে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি রাজধানীর খুচরা বাজারে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, খিলগাঁও এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব বাজারে আগের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। এখন সরু চাল (নাজিরশাইল) প্রতি কেজি ৬৫-৭৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল (পাইজাম) প্রতি কেজি ৫২-৫৬ টাকা, মোটা চাল (স্বর্ণা) প্রতি কেজি ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে রাজধানীর সর্ববৃহৎ চালের পাইকারি বাজার বাদামতলী ও বাবুবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের দু-তিন দিন আগে থেকে বাজারে বোরোর আগাম নতুন চাল উঠতে শুরু করেছে। এরপর থেকে পাইকারিতে অল্প অল্প করে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। তবে পুরান চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।পাইকারি বাজারে বিআর-২৮ প্রতি কেজি (নতুন চাল) বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৪৯ টাকায়, যা গত বছর ছিল ৫২-৫৩ টাকা। আর পুরোনো বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫১ টাকায়।

তবে বোরো মৌসুমের মিনিকেট ও অন্যান্য চাল তিন-চারদিনের মধ্যে বাজারে আসা শুরু হবে।চালের মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে চালও কিছু কিছু বাজারে উঠেছে। নওগাঁর বাজারে প্রতি ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট নতুন চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৮৫০ টাকায়। আর পুরোনো চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। প্রতি মণ নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৮০ টাকায়।

গত বছর একই ধানের দাম ছিল ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এবছর দেশে ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে, আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল ৪৮ লাখ ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে, আর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২ কোটি ২ লাখ টন।বাবুবাজারের মেসার্স রশিদ রাইস এজেন্সির মালিক আবদুর রশিদ জানান, গত সপ্তাহে তার দোকানে শেরপুরের গোপাল বাবুর মিল থেকে ৫০ কেজি ওজনের হাতি মার্কা ৪০০ বস্তা চাল আনা হয়।

প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৪৮ টাকা। পরিবহন ভাড়া পড়েছে ১৬ হাজার টাকা। এছাড়া কুলি খরচসহ প্রতি কেজি ঢাকায় আনতে ব্য়য় হয়েছে ৮০ পয়সা।গত বছর হাওরাঞ্চলে ফসল নষ্ট হওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই চালের দাম বাড়তি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন,এবছর দেশের বিভিন্ন জেলায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। দামও আগের চেয়ে কম। তবে আগামী সপ্তাহে চালের সরবরাহ বাড়বে।

’নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিদর বরণ সাহা জানান, এবছর তাদের অঞ্চলে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ঈদের পর এখনো চাল উৎপাদন শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহে বাজারে ধান-চালের সরবরাহ বাড়বে। এ বছর ইরির বাম্পার ফলন হওয়ায় বাজারে চালের দাম আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here