প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে খাদ্যে ভেজাল, মজুদদারি, কালোবাজারি এবং নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টাকে অত্যন্ত ‘গর্হিত কাজ’ উল্লেখ করে এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন খাদ্যে ভেজাল দেয়া, মজুদদারি বা কালোবাজারি এবং নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি এটা যেন কেউ করতে না পারে সেজন্য সকলকে আমি সতর্ক থাকার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দেশব্যাপী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন সামনে রমজান মাস। এ সময় আমাদের কিছু ব্যবসায়ী জিনিষের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। কারণ রমজান মাস কৃচ্ছতা সাধনের সময় এবং মানুষ যাতে ভালভাবে তাদের ধর্মকর্ম এবং রোজা যথাযথভাবে পালন করতে পারে সেদিকেই সবার দৃষ্টি দেয়া উচিত। সেসময় এসব মুনাফা লোভীদের জিনিষের দাম বাড়ানো আর মানুষকে বিপদে ফেলার কোনো মানে হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন ইমামগণ যখন মসজিদে জুম্মার নামাজের খোৎবা দেন তখন কালোবাজারি বা মজুদদারি বা খাদ্যে ভেজাল দেয়া আর অযথা মানুষকে কষ্ট দেয়া যে গর্হিত কাজ সে ব্যাপারে মানুষকে আপনাদের আরো বলা উচিত। খোৎবাতেও এটা বলতে পারেন বা মানুষকে সচেতন করতে পারেন।তিনি বলেন সেভাবেই কাজ করতে আমি মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খাদেমগণকে অনুরোধ করবো। তাহলে মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত মুনাফা নেয়ার প্রবণতা নিশ্চই কমবে।
নিন্ম আয়ের মানুষের ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার পারিবারিক কার্ডের ব্যবস্থা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অধিক দামে চাল ক্রয় করে ৩০ টাকা মূল্যে বিভিন্ন পরিবারকে দিচ্ছি। রমজানকে সামনে রেখে আরো ১ কোটি মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে আমরা চাল সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি এবং একেবারে কর্মক্ষমতাহীনদের বিনাপয়সায় ৩০ কেজি করে চালও দিয়ে যাচ্ছি।
মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার ন্যয্যমূল্যে এই নিত্যপয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ সরকার যাতে আরও ভালভাবে এগিয়ে নিতে পারে সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী।