প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মাঠে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই তার নাম জানানো যাচ্ছে না। এই অভিযান কীভাবে হয়েছে, সেসব বিষয় আমরা গোয়েন্দাদের মারফত জানতে পেরেছি।সোমবার (২১ নভেম্বর) রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, এই পরিকল্পনা নেতৃত্বদানকারীকে আমরা পেয়েছি। কোন ব্যক্তি ছিল তাকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তার সঙ্গে অন্যান্য যেসব সহযোগী ছিল এমন কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তবে অপারেশনের স্বার্থে, তদন্তের স্বার্থে সেই নামগুলো বলা কিছু বলা যাচ্ছে না।রোববার দুপুরে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গন থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে ও মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয় প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে। রাজধানীর রায়সাহেব বাজার মোড়সংলগ্ন ঢাকার সিজেএম আদালত ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
দুই আসামি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ।তিনি বলেন, গতকালকের জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো হাত নাই। তবে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আনসার আল ইসলাম, জেএমবি, নিউ জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোক নিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আমরা পেয়েছি। তবে এই ঘটনায় তাদের হাত নেই। গতকালকের অপারেশনে জড়িত কমপক্ষে ১০/১২ জন। তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সদস্য।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, যেহেতু আমরা পরিকল্পনাটি এবং অপারেশনালে কারা কারা ছিল আমাদের গোয়েন্দা তথ্য থেকে নিশ্চিত হয়েছি। আমাদের এখন কাজ হলো- যাদেরকে শনাক্ত করেছি তাদেরকে গ্রেপ্তার করা। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা।’আসাদুজ্জামান বলেন তাদেরকে ধরা না গেলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে তাদের পরিকল্পনা ছিল চারজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া। দুজনকে নিতে পারেনি। হয়ত তারা আরও অনেককে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল।
কিন্তু যখনই চারজন নেমেছে তখনই তাদেরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। হয়ত যদি আরও বেশি নেওয়ার সুযোগ পেত, নিত। তবে আমরা সেটা এখনো নিশ্চিত না।এখানে যারা অপারেশনালে অংশ নিয়েছিল তাদেরকে গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো প্লানিংটা জানতে পারব’—যোগ করেন সিটিটিসি প্রধান।