মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে কেন : জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কনডেমে রাখা সংক্রান্ত জেল কোডের ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে কনডেম সেলে বন্দীদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তা ছয় মাসের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন আকারে দিতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সাতজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলমের পক্ষে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি করা হয়। এ তিনজনের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন) ও আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবীরা বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে বেশ কিছু আইনগত ধাপ অতিক্রম করতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারামতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদিত হতে হবে। এ ছাড়া সর্বোচ্চ দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যায়। হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে রায় বহাল থাকলে আপিল বিভাগে আপিল করা যায়। আপিলেও যদি দণ্ড বহাল থাকে তাহলে রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) করা যায়। রিভিউ খারিজ হলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন আসামি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here