“লকডাউনের” কঠোর বিধি-নিষেধ আরো সাতদিন বাড়াতে চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার অভিঘাতে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। চলতি বছরই ফের উর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ। যার কারণে দেশে ‘লকডাউন’ বা কঠোর বিধি-নিষেধ আরো সাতদিন বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলেছেন ঈদের পরবর্তী এই সপ্তাহটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সমস্ত কিছু বিবেচনায় নিয়েই প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দেবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। গতকাল শনিবার (২২ মে) গণমাধ্যমকে এ কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। বিধিনিষেধ বাড়বে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন এ রকম কিছুই বলা যাবে না। আমরা কিছুই বলতে পারছি না। বিষয়গুলো পর্যালোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে? এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন সবকিছু আমাদের পর্যালোচনায় আছে। আমরা তো আগেই বলেছি ঈদের পরে করোনা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকবে।

সেটা নিয়ে আমরা এখনো শঙ্কিত। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন কী করলে ভালো হবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন আমরা অনেক দিন ধরে বিধিনিষেধ চালিয়ে আসছি। সবকিছু চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দূরপাল্লার গণপরিবহন চালু হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে অবশ্যই বড় রকমের ঝুঁকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে।

এর আগে চলমান এই বিধিনিষেধে বন্ধ করে দেয়া হয় বাস সার্ভিস, লঞ্চ, বিমান ও রেল যোগাযোগ। তবে পরবর্তীতে অর্ধেক আসন খালি রেখে সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস ও অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করা হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রথম লকডাউন ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ছিলো। তবে ঢিলেঢালা এই লকডাউনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়।

মহামারি বিস্তারের ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়। সর্বশেষ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৭ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here