প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। এই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঠাকুরগাঁওয়ে কোল্ডষ্টোরেজ গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকলেও কমছে না আলুর দাম।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আলুর নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যাতে উল্লেখ আছে গত মৌসুমে আলু উৎপাদন হয়েছে ১.০৯ কোটি মেট্রিক টন। দেশে প্রতি বছর আলু চাহিদা ৭৭.০৯ লক্ষ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত থাকে আরো ৩১.৯১ মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে আলুর ঘাটতি একেবাইরেই নেই।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয় আলুর মৌসুমে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ধরা হয় ১৪ টাকা। উৎপাদান খরচ, হিমাগার ভাড়া, বাছাই, ওয়েট লস, মূলধনের সুদসহ অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ খরচ হয় ২১ টাকা। প্রতি কেজিতে লাভ থাকে ২টাকা। অপর দিকে আড়ৎদাররা মুনফা যোগ করে ২৫টাকা দরে বিক্রি করবে। আর খুচরা বাজারে ভোক্তারা ক্রয় করবে ৩০ টাকা।
জেলা কৃষি বিপণন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আলুর মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় ৫.৩৫ হাজার মেট্রিকটন আলু উৎপাদন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় এখন পর্যাপ্ত আলু মজুদ আছে। ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ী বাজার, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড বাজার, গোধুলী ও সত্যপীর বীজ বাজার এলাকা ঘুরে এসে দেখা যায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়।
সবজি ব্যবসায়ী আইনুল হক, শহিদুল হক, আলম ইসলাম, জালাল উদ্দীন জানান, আড়তেই আলু ৩৫-৪০ টাকা দরে কিনতে হয়। আবার আনতে যানবাহন খরচ হয়। সেক্ষেত্রে ৪০ – ৪৫ টাকা দরে বিক্রি না করলে আমাদের লাভ থাকবে না। ভোক্তাদের অভিযোগ কৃষি বিপণন বিভাগ আলুর দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও তা মানছেন না আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা। ভোক্তাদের অভিযোগ এর সাথে একটি সিন্ডিকেট জড়িত বলে মনে করেন তারা।
ঠাকুরগাঁও জেলা বাজার অনুসন্ধাকারী কর্মকর্তা মো. সাখওয়াত হোসেন বলেন, অভিযান অব্যাহত আছে। তবে আগের তুলনায় কিছুটা দাম কমেছে। জেলায় ১৫ টি আলুর কোল্ডষ্টোর রয়েছে। এখনও ১.২৮ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুদ আছে। সে ক্ষেত্রে ঠাকুরগাঁওয়ে আলুর ঘাটতি থাকার কথা নয়।