প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পেঁয়াজের ঝাঁজ এমনিতেই বেশি। তাই এর ঝাঁজে বাজারমুখী হতে চাচ্ছেন না নিম্নবিত্ত লোকজন। পেঁয়াজের দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ১০০ আশেপাশে উঠানাম করছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বিভিন্ন বাজারে ৫ কেজি চালের দামে ১ কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ২০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায়, ৫ কেজি চাল বিক্রি করে ১ কেজি পেঁয়াজ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার খবরে ব্যবসায়ীরা ১৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। মায়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানী এবং বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ভয়ে কয়েকদিন আগে ৭০ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট বাজার, সিঙ্গারডাবরীহাট, নাজিমখান বাজার, নাককাটিরহাট, মীলের পাড়, ফরকেরহাট, বৈদ্যেরবাজার, সরিষাবাড়ীহাট, বুড়িরহাট, ডাংরারহাটসহ ২০টি বাজার ঘুরে দেখা যায় পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকায় উঠেছে। পেঁয়াজের উর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। অনেক ক্রেতাই বাধ্য হয়ে আগের তুলনায় পেঁয়াজে কেনা কমিয়ে দিয়েছেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজারহাট কাঁচা বাজারে মিজানুর রহমান নামের এক ক্রেতা পেঁয়াজ কিনতে এসে বলেন, চাঁপাইতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে কিনি। কিন্তু রাজারহাট বাজারে কিনতে এসে মাথা ঘুরে গিয়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ এখানে ১০০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন দোকানদাররা। এসময় অপর এক ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে হাটে হাটে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনতাম। দাম বেশী হওয়ায় এখন ১ পোয়া (২৫০গ্রাম) করে কিনছি।
একাধিক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, আজ বুধবার সকালে প্রতি ধারা (৫ কেজি) পেঁয়াজ আড়তদারের কাছ থেকে ৪৬০ টাকা দরে ক্রয় করা হয়েছে। সেগুলো ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন আড়তদার বলেন, এ উপজেলায় সরাসরি কোন আমদানীকারক না থাকায় রংপুর মোকাম থেকে পেঁয়াজ আমদানী করতে হয়। তাই দাম একটু বেশি। রংপুর মোকামেও আজকের বাজারে (১৬ অক্টোবর) প্রতিমণ রংপুর মোকাম ৩ হাজার ৩’শ টাকায় কিনতে হয়েছে। পরিবহন খরচসহ কিছু লাভ নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে রংপুর মোকাম বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজারে পিয়াঁজের মূল্য দ্রুত বাড়ার কারণে ভোক্তারা বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। রাজারহাট কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দুলাল মিয়া ও সেক্রেটারী ইয়াসিন আলী জানান, বাজার অনুযায়ী পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছে। কেউ বেশী দামে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাঃ যোবায়ের হোসেন জানান, আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি জানলাম, মনিটরিং পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।