প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে জনগণ অধিক সংস্কার চাইলে নির্বাচনে আরো বিলম্ব হতে পারে।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সিলেট সফরকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে জানিয়ে উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট হাতে পেলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পরে তিনি চিকিৎসাব্যবস্থাকে ভঙ্গুর উল্লেখ করে বিগত সময়ে নেওয়া নানা প্রকল্পের সমালোচনা করেন। এরপর তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে সেখানেও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় ভ্যাট বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যিনি অর্থ উপদেষ্টা, উনি তো পুরো বাংলাদেশের আর্থিক বিষয়টা দেখেন। ওনার অবস্থাটা দেখেন, আমরা যখন দায়িত্ব নিলাম টাকা-পয়সা, ডলারের যথেষ্ট সংকট ছিল। সার কিনতে গিয়ে দেখলাম, আমাদের কাছে সেই পরিমাণ যথেষ্ট ডলার নেই, যা দিয়ে আমরা সার কিনতে পারি। তার মধ্যে আগের সরকারের অনেক টাকা কাতার ও সৌদি আরবে রয়ে গিয়েছিল, যেগুলো পরিশোধ হয়নি।
তখন আমাদের কম পরিমাণ সার কিনে আগের টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। অর্থাৎ অবস্থা বুঝেই তো ব্যবস্থা করতে হয়েছে। ওষুধে ভ্যাট বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমরা সে সময় কেবিনেটে বলেছিলাম, এগুলো আর বাড়ায়েন না। যা-ই হোক, তিনি (অর্থ উপদেষ্টা) এগুলো কনসিডার করবেন। সামনে আরো ভালো কিছু আমরা আশা করছি। যেটা বাড়ানো হয়েছে, সেটা কমানো হবে বলে আশা করছি। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা তো আপনারা নিজেরাও দেখছেন। স্বাস্থ্যখাতে অনেক রকমের দুর্নীতির চিত্র আমরা দেখছি।
যেমন সিলেটের মধ্যেই দেখেন, এখানে দুর্নীতি হয়েছে কি না, সেটি বলব না, কিন্তু কোনো প্ল্যান হয়নি। কারণ, একটি বিল্ডিং বানালাম (জেলা হাসপাতাল), সে বিল্ডিংয়ের সঙ্গে তো আমার ম্যানপাওয়ার এবং বিল্ডিং দুটি একযোগে হতে হবে। ওইটা না হলে কী করে হাসপাতালটা চালু করব। এ রকম ময়মনসিংহে ২২ বিল্ডিং হয়েছে, কিন্তু হাসপাতাল হয়নি। তবে কেন আমি বিল্ডিংটা বানালাম, কোনো যন্ত্রপাতি নেই, কোনো ম্যানপাওয়ার নেই। মানিকগঞ্জে দুটি মেশিন কেনা হয়েছিল, এমআরআই মেশিন।
এমআরআই মেশিন একটা জন্ম থেকেই ওইটা গরম হয়ে যায়, ওইটা চলে না। এগুলো কেনার সময়ই গন্ডগোল হয়েছে। যে সিস্টেমে দুর্নীতি করাকে নাকচ করে দিবে, সে রকম সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে আমাদের। হাসপাতালগুলোতে জনবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জনবল তো দিতে হবে, কিন্তু দিনে দিনে তো ডাক্তার বানাইতে পারব না, নার্স বানাইতে পারব না। কাজেই আমরা দেখব যে টোটাল আমাদের কী আছে, তার মধ্য থেকে কাকে কতটুকু দিলে চলে যাবে।