প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনা তদন্তের জন্য আজ (২২ আগস্ট) ঢাকায় আসছে জাতিসংঘ কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল। প্রাথমিকভাবে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানে জন্য এক সপ্তাহের সফরে ঢাকায় পৌঁছাবে তারা। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, জাতিসংঘের দলটি ২৮ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে।
তারা চাইলে সফরের সময়সীমা বাড়াতে পারে। এই সফরে তদন্তের জন্য বাংলাদেশকে কীভাবে সহযোগিতা করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। জেনেভা থেকে জানা গেছে, জাতিসংঘ যখন বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তদন্ত করতে যাচ্ছে, তখন কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বিষয়টি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের আলোচনায় তোলার জন্য চাপ দিচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে— জাতিসংঘের তদন্তকে সম্মান জানিয়ে এই সময় মানবাধিকার পরিষদে আলোচনা তোলা সমীচীন নয়। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর গত সপ্তাহে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘অপ্রয়োজনীয়’ এবং ‘মাত্রাতিরিক্ত’ বলপ্রয়োগ করেছে।
জাতিসংঘের দলটি, যার নেতৃত্ব দেবেন রোরি মুঙ্গোভেন, ঢাকায় এসে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করবে। তারা কাজের ধারা, প্রক্রিয়া এবং শর্ত চূড়ান্ত করবে। তবে এটি নিশ্চিত নয় যে, এই দলই মূল তথ্যানুসন্ধানী দল।পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জাতিসংঘের দলটি সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবে।জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের ঢাকায় এক সপ্তাহ থাকার সময় তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করবে।
এদিকে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা চায়, বাংলাদেশের পরিস্থিতি মানবাধিকার পরিষদের আলোচনায় উঠুক। কূটনৈতিক সূত্রের মতে— জাতিসংঘের তদন্ত চলাকালে এই ধরনের আলোচনা বাংলাদেশকে সমালোচনার মুখে ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ আশা করছে, জাতিসংঘের দলটি সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবে এবং মানবাধিকার পরিষদের আলোচনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি যুক্ত করার ব্যাপারে সতর্ক থাকবে।