সিদ্ধিরগঞ্জে গানের আসরের আড়ালে অপকর্ম অদৃশ্য কারণে পুলিশ নির্বিকার

0
সিদ্ধিরগঞ্জে গানের আসরের আড়ালে অপকর্ম অদৃশ্য কারণে পুলিশ নির্বিকার

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে গানের আসরের আড়ালে দেহব্যবসা, খুন, ছিনতাই,
ডাকাতি ও ব্ল্যাকমেইলিং ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশ নির্বিকার। পুলিশের দাবি গানের আসরের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

আয়োজকরা বলছেন থানা পুলিশকে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে আসর চালাচ্ছে।  অভিযোগ জানা গেছে, সাইনবোর্ড ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে পাইজা মার্কেট এলাকায় ইমরান দেওয়ান নামে এক ব্যক্তি রাতে গানের আসর বসায়।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আসরে গান পরিবেশন করে ভোরে বাসায় ফিরার পথে এক শিল্পিকে অপহরণের চেষ্টা চালায় সাহেবপাড়া এলাকার কয়েকজন ছিনতাইকারী। এসময় ওই শিল্পি দৌঁড়ে রক্ষা পেলেও তার সাথে থাকা খলিল(৫৫)নামে এক বৃদ্ধকে ধরে ফেলে ছিনতাইকারিরা। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালের পিছনে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে মারধর করে সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

খলিল গান শোনে ওই শিল্পির সাথে জালকুড়ি তার বাসায় ফিরছিলেন।  খলিল জানান, সাহেবপাড়া এলাকার সুমনের নেতৃত্বে এঘটনা ঘটে। পরে সকালে আসরের আয়োজক ইমরান দেওয়ান ছিনতাইকারীদের সাথে সালিশ বৈঠক বসে উল্টো ওই শিল্পিকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। তবে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ও টাকা ফেরত দেয়নি ছিনতাইকারিরা।  এঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন বলেন ভিন্ন কথা।

তিনি বলেন, ইমরান দেওয়ান গানের আসরের আড়ালে দেহ ব্যবসা করছে। তার আসরের দালাল খলিল ওই শিল্পিকে এক খদ্দেরের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় আমারা তাকে ডাক দেই। তখন শিল্পি দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে খলিলকে চর থাপ্পর দেই। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে সুমন মোবাইল রেখে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু সাইনবোর্ড নয়, শিমরাইল মোড় টেকপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ীর মাছ বাজারের সামনেও রাতে গানের আসরের নামে চলছে অপকর্ম। একই কীর্তি চলছে জালকুড়ি ও গোদনাইল এলাকায়।  গানের আসরের আড়ালে অপকর্ম বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরান দেওয়ান বলেন, আমার আসরের ভিতরে কোন খারাপ কাজ হয়না। বাহিরে কে কী করে তা আমার দেখার বিষয় নয়।

ছিনতাই ডাকাতি নিয়ন্ত্রন করা পুলিশের কাজ আমার নয়। আমি থানা পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে আসর চালাচ্ছি। প্রতিদিন পুলিশের টহল টিমকে ৫০০ টাকা ও ওসিকে মাসে ৩০ হাজার টাকা দেই। আসরে আয় না হলে পুলিশকে টাকা দিব কিভাবে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা আর্থিক সুবিধা পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন,গানের আসরের কোন অনুমতি দেইনি। কোন অপ্রিতিকর ঘটনার অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here