জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় চয়নিকাকে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।  শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাত ১১টায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, রাত ১১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চয়নিকা চৌধুরীকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় তার মেয়েসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ের গেটে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে জানান, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হবে। পরে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হলে তাকে ডেকে নেওয়া হবে।এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথ এলাকা থেকে চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি। পরে তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বেসরকারি একটি টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে বের হয়ে আসার পর চয়নিকা চৌধুরীর গাড়ি আটকায় ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারের পর রিমান্ডে থাকা মডেল পিয়াসা, মৌ ও পরীমণিকে ব্যবসায়ী ও উঠতি বয়সী ধনী তরুণদের নিয়ে ডিজে পার্টি করা এবং মাদকের আসর বসানোর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কারও কারও কাছ থেকে চয়নিকা চৌধুরীর নাম আসে। বোটক্লাবের ঘটনার পর পরীমনির বাসায় খুব ঘনিষ্টভাবে দেখা যায় চয়নিকা চৌধুরীকে।

উর্ধতন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিনেত্রী ও অভিনেতার সঙ্গে প্রেম করিয়ে দেওয়া, বিচ্ছেদে সহযোগিতা, মাদক সরবরাহসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।বোট ক্লাব কাণ্ডের পর পরীমণির পাশে দেখা যায় চয়নিকা চৌধুরীকে। পরীমনি তাকে ‘মম’ বলে সম্বোধন করেন বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। কিন্তু গত ৪ আগস্ট পরীমণি আটক হওয়ার পর তাকে আর পাশে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে অবশ্য চয়নিকা গণমাধ্যমে বলেছেন, পরীমণির সঙ্গে তার যোগাযোগ ও আড্ডা নিতান্ত পেশাগত কারণে। দুজনের মধ্যে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here