জুরাইন কবরস্থানে বড় ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত এটিএম শামসুজ্জামান

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বড় ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। মৃত্যুর পুর্বে সন্তানদের কাছে এখানেই তাকে সমাহিত করার অসিয়ত করে গেছেন তিনি। তার চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা সিনেমার বর্ণিল এক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো যেনো।

রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসভবনে শনিবার সকাল ৯টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এটিএম শামসুজ্জামান । এর আগে শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতার কারনে গত বুধবার সকালে তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিন্ত হাসপাতালে থাকতে চাচ্ছিলেন না এ অভিনেতা। অভিনেতার ইচ্ছে অনুযাই অবস্থা কিছুটা ভালো হলে শুক্রবার বাসায় নিয়ে আসা হয়। বাসায় ফেরার পরের দিন চিরবিদায় নিলেন তিনি।
শনিবার বাদ জোহর নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মসজিদে এটিএম শামসুজ্জামানের প্রথম জানাজা হয়। তিনি এই পীরের মুরিদ ছিলেন। জানাযা শেষে বাদ আসর তার দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রথম জানাজা শেষে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সূত্রাপুরে কমিউনিটি সেন্টারে তার মরদেহ নেওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধাতে জানাতে আসেন সংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকজন ও তার ভক্তকুল।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আবু তাহের মোহাম্মাদ (এটিএম) শামসুজ্জামান নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে তার অভিষেক হয়। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করে তিনি আলোচনায় আসেন।
ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন কিংবদন্তি এ কমেডিয়ান ও খল অভিনেতা। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৯৯ সালে ‘ম্যাডাম ফুলি’ সিনেমায় কমেডিয়ান চরিত্রে, ২০০১ সালে ‘চুড়িওয়ালা’, ২০০৯ সালে ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য এবং ২০১৭ সালে ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন এই অভিনেতা।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে অসামান্য অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন কিংবদন্তি এ অভিনেতা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here