ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনতে “অনুরোধ” বিবেচনা করে দেখবে বাংলাদেশ।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কোনও ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়। কেজি প্রতি ২৫০ টাকার ওপর ওঠে পেঁয়াজের দাম। যা ইতিহাস ও বিশ্ব রেকর্ড করে দেশের পেঁয়াজের দাম। তীব্র গতিতে বেড়ে উঠা পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে মিশর, তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে।

সংকটময় সময়ে প্রায়ই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। অথচ ভরা মওসুমে রফতানির পরিমাণ ব্যাপক আকারে বাড়িয়ে দেয় দেশটির পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। এর ফলে ভরা মওসুমে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী হয়। লোকসান গুণতে হয় পেঁয়াজ চাষীদের। লোকসানে সর্বস্বান্ত হয়ে পেঁয়াজ চাষে অনাগ্রহী হোন দেশের চাষীরা।তবে এবারের চরম অভিজ্ঞতার কারণে ভরা মৌসুমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে নিরুৎসাহী করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

এতেই নাবিশ্বাস ভারতেই। তাদের আমদানি করা পেঁয়াজ এখব পঁচছে। আর কৃষকরা পাচ্ছেনা ন্যায্য মূল্য। ফলে চরম সমালোচনা মুখে মোদি সরকার। সমালোচনার ঝড়ে তাদের আমদানি করা পেঁয়াজ বাংলাদেশকে কেনার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকেবুল হককে দেশীয় প্রয়োজন মেটানোর জন্য ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ কেনার প্রস্তাব দেন।

তবে এই বিষয়ে এখনও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পায়নি। অফিসিয়ালি যদি কোনও প্রস্তাব (পেঁয়াজ কেনার) দেয়া হয় তাহলে বিচার-বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষ পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ভারতের প্রস্তাব পেলে পেঁয়াজ নেওয়া হবে কি না, এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন প্রোপোজাল আসলে দেখে বিবেচনা করব, কী ধরনের প্রোপোজাল। কিন্তু আমরা তো এখন নিজেরাই সরাসরি আমদানি করছি। তারপরও যদি সুইটেবল হয় দেখা যাবে। বাট, এখন আমাদের এটা কনসিডারেশনে নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here