প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। যে দেশের প্রধান খাদ্য ভাত। যারা রোদে পুড়ে, বৃষ্টি ভিজে ধান উৎপাদন করে তারা পাচ্ছেন না তাদের কষ্টার্জিত ফসলের ন্যায্য মূল্য। কৃষকরা কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করলেও ক্ষেতে উৎপাদিত ধান ঘরে আনতে পারছেন না। কারণ, ধানের দামের চেয়ে শ্রমিকের মজুরি বেশি বলে। শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৭০০ টাকা আর প্রতি মণ ধানের দাম ৫৬০ টাকা। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে ,তাদের লাভের পরিবর্তে লোকসানই বেশি। সরেজমিনে শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে দেখা যায় আটাশ ধানের বাজার ৫৫০ ও ৫৬০ টাকা। তবু মহাজনরা ধানের সমস্যা না থাকলেও নানা সমস্যার কথা বলে দাম আরও কম করে বলেন। এ সময় দেখা যায় অনেক কৃষকেরই মুখে হতাশা।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলার কৃষক আলী মিয়া বলেন জমি আবাদ করে কোনো লাভ নেই, এখন আবাদ ছাড়া আর করবো কী? এর জন্য বাধ্য হয়ে আবাদ করি। ২ একর জমি আবাদ করছি; কিন্তু ধান কাটতে পারছিনা। ৭০০ টাকা করে দৈনিক মজুরি একটা কামলার (শ্রমিক), আর বাজারে ধান নিতে চাইনা। ৫৫০/৫৬০ টাকা মণ ধান। চুক্তি করে দিলেও কাটাঁ আর আনা ১০ হাজার টাকা কোর (একর)। এভাবে কেমনে আবাদ করবো?। বাজারে ধান এনে ২ ঘণ্টা ধরে রেখে ৫৬০ টাকা করে বিক্রি করি। হিসাব করে দেখা যায় লোকসান হবে, আবাদ করে ভুল করেছি।
কৃষক আব্দুর রহমান বলেন আমি গরীব মানুষ অন্যের জমি টাকা দিয়ে আবাদ করছি। এখন আমার কান্না আসতেছে।’ তিনি কান্নার সুরে বলেন আমার ধান আবাদ করাটা ভুল হয়েছে, হালের ( জমি চাষ) টাকা, সার-বিষের টাকা, লাগানো, নিড়ানো খরচ , কাটা, মারাইকরা সহ যে টাকা খরচ হবে তা আমার ধান বেচেও (বিক্রি) করওে শোধ হবেনা। বড় কথা হলো ধান পেকে আছে কিন্তু কাটতে পারতেছি না কোনো কামলা নাই বলে। আর কামলার দাম ও বেশি।