প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ যার জন্য আজ লিখতে বসলাম তার জীবনের আজ সোনালী বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যাবেলা। একাধিক দুরারোগ্য রোগে ঝেঁকে বসেছে তার বিপ্লবী ও বর্ণাঢ্য এই জীবনের শেষ বেলায়। তিনি আর কেউ নন তিনি চাঁদপুরের অসংখ্য যুবক ও জনগনের মধ্যমনি ডাক্তার শেখ মহসীন। তিনি ছিলেন সাহসী, বিপ্লবী, এবং রাজনীতির এক অগ্র সৈনিক, তার সহকর্মীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে অনেক গল্প শুনা যাবে। যা তিনি রচনা করেছেন তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে।
এই নামটি আমার ছোটবেলা থেকেই খুব চাউর ছিল, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগন, শিক্ষিত বেকার যুবক, অন্যায়ের কাছে একধরনের হার মেনে নেয়া জনগোষ্ঠী, এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যারা তার সহযোগীতায় পৌছেছেন তার প্রত্যাশিত উচ্চতায়। অসহায় মানুষের প্রতি অত্যন্ত দুর্বল ও যত্নশীল ছিলেন। প্রতিপক্ষ যত বড় প্রভাবশালীই হোক, তিনি অসহায় এর পাশেই থাকতেন অবিচল ও লড়ছেন অবিরাম। যা এখনো চলছে বিরতিহীনভাবে লড়াই করে চলেছেন সত্য ও সঠিকটা প্রতিষ্ঠা করতে, বিজয়ীও হয়েছেন বহুবার।
প্রভাবশালীদের বাধা আর আপত্তিতে তিনি দমে যাননি এক মহুর্তের জন্য, যদি কেউ তাকে বাধা দিতেন উপরন্তু সেই বাধাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কাজ যথাযথভাবে হাসিল করতে আরো মননশীল হয়ে তার সফলতা এনেছেন এমন রেকর্ড আছে অসংখ্য।চাঁদপুর ছোট্ট একটি শহর। এই শহরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্দিনে আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন সদা অগ্র সৈনিক, সেসময়ে নিজ দল আওয়ামী লীগের জন্য তিনি ছিলেন ভরসার নিয়ামক তখন তার সাথে যারা রাজনীতি করতেন তাদের মধ্যে কোন নেতাই তার অবদান অস্বীকার করতে পারবেন না।
তখন ছাত্র রাজনীতিতে যারা নেতৃত্ব ছিলেন, শ্রদ্ধেয় জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, মাহফুজুর রহমান টুটুল, জাহিদুল ইসলাম রোমান, সাইফুদ্দিন বাবু, আইয়ুব আলী বেপারী, প্রয়াত জাফরুল্লাহ খান, প্রয়াত রুবেল, প্রয়াত যোদ্বা রিপন, প্রয়াত আজাদ সহ নাম খেয়ালে না আসা আরও অনেকে, তাদেরকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল খুব কাছাকাছি থেকে।ডাক্তার শেখ মহসীন ভাইয়ের একটাই সমস্যা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো আর সে প্রতিবাদে যদি সে একাও হত তবু লড়ে যাবে।
আমি তার কাছ থেকে অনেক কিছুই জানতে শিখেছি। কিভাবে বিপদে ধৈর্য ধরতে হয়, এবং তা সামলে উঠতে হয়। এমন অনেক বক্তব্য আছে যা শুনলে যে কেউ তাকে ভালবেসে ফেলবেন। আমি তাকে সম্মানের যায়গায়ই দেখতে বেশি পছন্দ করি। তিনি আমার এক সময়ের খুব বড় একজন অভিবাবক ছিলেন আজো কোন সমস্যায় পড়লে বা কোন ঝামেলা সামনে আসলে তার কাছেই পরামর্শ নেই।
তিনি যে দলের রাজনীতি করেন সে “আওয়ামী লীগ” দলটি আজ অনেকদিন ক্ষমতায় জানিনা আমার প্রিয়জন শেখ মহসীন ভাই কি পেয়েছেন, আর কি পাননি। তিনি চাঁদপুরের রাজনীতিতে একটা ভাল সম্মান ডিজার্ভ করেন এটা আমি জামাল হোসেন রানা ‘র কোন সন্দেহ নেই। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় এ প্রিয়জন শেখ মহসীন ভাই সিক্ত হয়েছেন এতে কোন সন্দেহ নেই। যার জন্য এমনিতেই শ্রদ্ধা চলে আসে মন থেকে।
আমি দোয়া করি মানুষের প্রয়োজনে হলেও মহান আল্লাহ যেন প্রিয় ভাইটিকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন এবং এই বেঁচে থাকার মধ্য দিয়ে মানুষের উপকার করার ধারাবাহিকতা যেন মহান আল্লাহ অব্যাহত রাখেন। আমিন…ডাক্তার শেখ মহসীন।