যে জাতির বিজয় দিবস আছে, তাদের পরাজয় নেই: আবেদ খান

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান বলেছেন, যে জাতির বিজয় দিবস থাকে তাদের পরাজয় নেই। আমাদের বিজয় দিবস আছে, স্বাধীনতা দিবস আছে। আমাদের জিততেই হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার সংঘ বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারত-বাংলাদেশের দু’দেশের সম্পর্ক অচ্ছেদ্য। আমাদের এ সম্পর্কের যত্ন নিতে হবে। এ সম্পর্কে গভীরতা অনেক, হাজার বছরের সম্পর্ক। কিন্তু দু’দেশের এ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বিস্মৃত হলে চলবে না। আমাদের ভালবাসা, শ্রদ্ধার এ সম্পর্ক কোন কিছুতেই নষ্ট হতে দিতে পারি না।

আবেদ খান আরও বলেন, সংস্কৃতি নিজস্ব শক্তিতে বলীয়ান হয়। কিন্তু অনেক সংস্কৃতি পরিচর্যার অভাবে হারিয়ে গেছে। আমাদের দেশে এখন সাংস্কৃতিক সম্প্রীত বজায় রাখতে পারছি না। এ ব্যর্থতা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। তবে আমাদের আবার একাত্তুরের মতো দাঁড়াতে হবে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংগঠনের সভাপতি ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন কলামিস্ট ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফনিন্দ্র সরকার। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক সেলিম ওমরাও খাঁন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তৌহিদুল হক, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহসান উল্লাহ, ভারতের সাংস্কৃতিক সংগঠক নৃপেন অধিকারী, শান্তি ও মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি জামালউদ্দিন সবুজ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক দিলীপ কুমার মণ্ডল। অনুষ্ঠানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সনৎ কুমার লস্করের পাঠানো বক্তব্য পাঠ করে শোনান সঞ্চালক। সভাপতি ড. নাজমুল আহসান কলিমল্লাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত ভ্রাতৃমাতার ভূমিকা পালন করেছে। তাদের এ ভূমিকার কারণেই মাত্র নয় মাসে আমাদের বিজয় অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। নয়তো ভিয়েতনামের মতো দীর্ঘসময় ধরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে হতো। ফলে এ রাষ্ট্রটির সাথে আমাদের শক্তিশালী একটি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ সম্পর্ক অচ্ছেদ্য।

মূলপ্রবন্ধে ফনিন্দ্র সরকার বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে বিশুদ্ধ জীবনচর্চা। মনুষ্য জীবনের সার্থক অভিধান। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে এর সারমর্ম পুরোপুরি খুঁজে পাওয়া যাবে না। সংস্কৃতির ধারক যে বস্তু তাকে পরম বস্তু বলে মানুষের মনে বিশ্বাস জাগাতে হবে এবং এ বিশ্বাসকে সুরক্ষিত করতে হবে। সুরক্ষিত করতে না পারলে মানব সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি ভেঙে পড়বে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের সদস্য সেমিনার কমিটির আহবায়ক মকবুল হোসেন মুকুল, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here