প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যেখানে অবস্থান করেছিলাম সেখানে বাইরে জালের মতো সারা বাড়ি ঘিরে পুলিশ সদস্যগন ঘেড়াও করে ব্যাপক প্রহার করে অবশেষে মরহুম আহসানুল হক ফটিক ভাই এবং আমার একসাথে পরানো হয় হ্যান্ডকাফ। নিয়ে গিয়ে তোলা হয় অপেক্ষমান একটি মাইক্রোবাসে। অতপর আমাদের ঢোকানো হয় থানার লক-আপে। পরের দিন আইনের নিয়মে থানা থেকে কোর্টের নিছিদ্র লক-আপে রেখে হাজিরা শেষে চাঁদপুর ক্ষুদ্র কারাগারে দীর্ঘ ২৮ দিন কারাভোগের পর বৃহত্তর কারাগারে।
কারাগার থেকে মুক্তির ৪ দিন পর মরহুম ফটিক ভাই ধানমন্ডি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি হন পিত্ত থলির পাথর নিয়ে অপারেশনের জন্য। ঐ দিনই আমি ছুটে চলে যাই হাসপাতালে। ভাবলাম সুস্থ হয়ে যাবেন। না ফটিক ভাই সুস্থ্য হলেন না। দুই দিন পর ভোর ৫.২০ মিনিটে চিরতরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এমন মৃত্যু করো কাম্য নয়।
মানুষ এভাবেই হারিয়ে যায় চলে যায়। জানা অজানা অনেক কষ্ট নিয়েই মানুষ বেঁচে থাকে। চলে যাওয়ার সময় কিছুই নিয়ে যায় না, অথচ বেঁচে থাকার সময় হিসাব রাখে প্রতিটি মুহূর্তের। সামান্য পান থেকে চুন খসলেই হিসাব দিয়ে যেতে হয়। সুন্দর এই পৃথিবীতে আমরা এসেছি ক্ষনস্হায়ী। আগামীকাল সকালটা আপনে আমি দেখব কিনা তার কোন নিশ্চয়তা আমাদের কারো কাছেই নেই। অথচ এই অনিশ্চিত জীবনটা নিয়ে আমরা কত জটিল করে ফেলি। জীবন কিন্তু আসলে এতটা জটিল বা কঠিন না। আমার বা আপনার কিছু নেতিবাচক চিন্তা জীবনটা নষ্ট করছে প্রতিনিয়ত।
ভেবে দেখুন তো, আজকের রাতটা যদি আমার – আপনার জীবনের শেষ রাত হয় তাহলে ও কি মানুষের প্রতিহিংসা, রাগ, ক্ষোভ, অহংকার রাখতেন…???
হে রাজনীতি, তোমাকে চাই না আমি প্রান্তরে অজস্র দেবদারু ডাকে। আয় আয় কাছে। ডুব দাও মন, ডুবে যাও ইথারে বিলাপ নিঃশব্দতায়। গহিনে খোঁজ – দেখো অতল আঁধার। কী চাও মন..?? ডুব দাও, ডুবে যাও – ভেসে যাও মন.. পরিশেষে আল্লাহ মরহুম ফটিক ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আমিন