ভয়ংকর অদৃশ্য করোনা ও সচেতনতা: মফিজুল ইসলাম, পিপিএম

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভয়কে দুর করাও একটি সচেতনতা। আজ সচেতনতার নামে মানুষের মনে যে ভয় সৃষ্টি হয়েছে এটাও সচেতনতার অন্তরায়। করোনা সচেতনার স্লোগান হলো, ” ভয় পাবেন না, সতর্ক থাকলেই সুস্থ হবেন”

প্রথমেই বলি, করোনা একটি রোগ মাত্র, যার কোন ভ্যাকসিন ও ঔষধ আবিস্কার করতে পারেন নাই, বিশ্ব স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এ রোগের লক্ষন অন্য সময়ের ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের মতই, নাক দিয়ে পানি ঝরা, ১০০ ডিগ্রীর উপর জ্বর থাকা, হাঁচি ও শুকনো কাশি ও সাথে পাতলা পায়খানা। এই লক্ষনগুলো সাধারনত অন্যবিধ ভাইরাসের মতই কমন। যেহেতু এটি আপডেট ভার্সন এবং কোন ভ্যাকসিন এখনও আবিস্কার হয় নাই, এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক জীবন যাপন করাই আপাতত মুখ্য বিষয়। আর এইজন্যই প্রত্যেক দেশে জনসমাগম থেকে এড়িয়ে চলার উপর কঠোর নির্দেশ জারী করে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। এটাকে নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে পালন করলে এই রোগ থেকে নিজে সংক্রমিত হওয়া ও অন্যকে সংক্রমিত করা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু সচেতন ও সতর্কতার নামে যে ভয় সৃষ্টি করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি আরো সচেতনতার অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে।

একজন মনোবিজ্ঞানীর কথা শুনুন :
ভয় মানুষের রোগকে আরও বৃদ্ধি করে। মৃত্যুর ভয় কে না করে। সবার মধ্যেই মৃত্যুর ভয় আছে। এক ব্যক্তিকে সাপের বিষের ক্ষতি সম্পর্কে নিয়মিত পাঠ দিলেন। তার ভিতরে সাপের বিষের ভয় মাথার মধ্যে এমনভাবে গেঁথে নিল যে, তার মনে সব সময় সাপের বিষে মারা যাওয়ার ভয় ঢুকে গেল। এভাবে চলার বেশ কয়েক দিন পর, রাতে তার অজান্তে আলপিন দ্বারা পায়ে আঘাত করা হলো, সে চিৎকার করে উঠলো, তাকে সাপে কামড়েছে। তাকে বুঝানো হলো না, তাকে সাপে কামড় দেয় নাই, তার পায়ে আলপিনের আঘাত হয়েছে। সে কিছুতেই বুঝে না। তাকে নিয়ে যাওয়া হলো সর্পবিধ ডাক্তারের নিকট। তার রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেলো তার সারা গায়ে সাপের বিষ। ডাক্তার আশ্চর্য হয়ে গেলেন। এরপর তার ব্র্যান পরীক্ষা করে দেখা গেলো তার ব্র্যান থেকে সাপের বিষের চিন্তা থেকে নার্ভে সঞ্চালন হয়েছে। সে মারা গেলো।

এইজন্য ভয়ে অনেকেই মারা যায়। এইজন্য অনেক জ্ঞানী ডাক্তার রোগীকে তার জটিল রোগ সম্পর্কে তাকে না জানিয়ে নির্ভয় দান করেন এবং ট্রিটমেন্ট প্রদান করেন। ইহাতে অনেক রোগী ইনশাআল্লাহ সুস্থ্য হয়ে যায়। কিন্তু করোনা নিয়ে প্রথমেই আমাদের মনে ভয় ঢুকানো হয়েছে যে, এটি একটি মরণ ব্যাধি। সে ভয়কে পুঁজি করেই বিশ্ব জয় করে ফেলেছে করোনা কোভিড-১৯ ভাইরাস।

মনে রাখবেন, ইতোপূর্বে যক্ষার রক্ষা ছিল না। তারও রক্ষা হয়েছে সচেতনতার মাধ্যমে। ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু ইত্যাদি ভাইরাসও একই রকম। মনে রাখতে হবে এগুলো রোগ বা ব্যধি। আর মানুষের মৃত্যু এমনি এমনি হয় না, হয় কোন দুর্ঘটনায় অথবা কোন রোগে।

মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হয় না। উচিত ছিল নির্ভয়ের মাধ্যমে এই সময়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাফনের জন্য সরকারী উদ্যোগে ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং নির্ভয় প্রদান করা। কিন্তু যে ভয় মানুষের মনে বাসা বেঁধেছে এটা দুর করতেই অনেক সময় লাগবে হয়তো। আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝ দান করুন।

মফিজুল ইসলাম, পিপিএম
প্রধান পৃষ্ঠপোষক
সামাজিক সচেতন সংস্থা (সাসস).

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here