রোবট মার্কা আমলাতন্ত্র জাতির জন্য বিষ ফোড়া

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার: বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম। ০৫/১২/২০১৯ ইং তারিখে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সর্বোচ্চ আদালত আইনজীবীদের মুহুমুহ আর্তস্বরে মুখরিত হয়েছিল, সে আর্তনাদের ভাষা ছিল একটি, “উই ওয়ান্ট জাষ্টিস।” অনুরূপ আর্তি নিয়ে স্কুলের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা রাজপথ দখল করে যানবাহন চলাচলে ক্ষনিকের জন্য হলেও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিল, সে দিনের বুকভরা আশা নিয়ে আর্তিটি ছিল “উই ওয়ান্ট জাষ্টিস” অর্থাৎ “আমরা বিচার চাই।” রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুতে ষ্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের মিছিলে অশ্রুভরা নয়নে দাবীটি ছিল “উই ওয়ান্ট জাষ্টিস।” জাষ্টিস বা বিচার দু প্রকারের হতে পারে, একটি লোক দেখানো বিচারের নামে “প্রহসন”; অন্যটি “বিবেক” সম্মত বিচার। সাধারণত: যেখানে প্রহসন সেখানেই ন্যায় বিচারের দাবী, অন্যদিকে সংক্ষুব্দ হলেও বিচারিক সিদ্ধান্ত ও পদ্ধতির বিষয় নিয়ে কথা উঠে।

রাজপথে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয় বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের মুখ থেকে রাজপথেই আওয়াজ উঠেছিল “উই ওয়ান্ট জাষ্টিস।” দেশের সর্বোচ্চ আদালত, যেখানে বিবেক সম্মন্ন বিচার পাওয়াই সকলের শুধু প্রত্যাশা নয় বরং প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য ও মৌলিক অধিকার, সেখানে কেন তিন ঘন্টা ব্যাপী অনবরত বিচার অর্থাৎ ন্যায় বিচারের দাবীতে এজলাসটি আর্তনাদে মূখরিত ছিল? ন্যায় বিচারের আড়ালে আবঢালে কোন প্রহসন বা স্বচ্ছ প্রতিবন্ধকতার সন্দেহ দৃশ্যমান বা লুকাইত ছিল বলেই কি হতাশা থেকে সমবত স্বরে এ আর্তস্বরের ধন্নি? সার্বিক মাপকাঠিতে বিষয়টি পর্যালোচনার দাবী রাখে, ভবিষ্যতে আদালতে অনুরূপ ঘটনার পরিহারের স্বার্থে।

বিষয়টি বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে দেখছেন। প্রধান বিচারপতি ঘটনায় হতবাক হয়ে বলেছেন “বাড়াবাড়ির সীমা থাকা দরকার।” এ্যাটর্নী জেনারেল বলেছেন “এ ঘটনা ন্যাক্কারজনক, বিএনপি আইনজীবীরা ফ্যাসীবাদী আচরন করেছেন।” সুপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচিত সভাপতি (সরকার পন্থী) বলেছেন “এ ধরনের ঘটনা জীবনে দেখিনি।” বিভিন্ন টক শোতে আলোচনা হয়েছে যে, “অনুরূপ ঘটনা পূর্বেও ঘটেছে।” বিএনপি আইজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, “সরকারের চাপে মেডিকেল রিপোর্ট দেয়া হয়নি। এ্যাটর্নী জেনারেলের এক পেশে বক্তব্যের কারণে ঘটনার উদ্ভব।” আইন মন্ত্রী বলেছেন “বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” খোন্দকার মাহবুব হোসেন (বিএনপি) বলেছেন “সব দায় এ্যাটর্নী জেনারেলের।” তবে আইনাঙ্গনের অভিবাবক হিসাবে এ্যাপিলেট ডিভিশন বিষয়টি ধৈর্য্যরে সাথে সামলে নিয়েছেন, যা দৃষ্টান্তমূলক।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয় যে, গত ২৮ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চেয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রতিবেদন আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয় এবং একই তারিখে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য নির্ধারণ করে। গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানিতে বলেছিলেন, “খালেদা জিয়া বয়স্ক একজন নারী, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন, তিনি স্বাভাবিক ভাবে চলা ফেরা করতে পারছেন না, মানবিক কারণে আমরা তার জামিন চাই।” উল্লেখ্য ৭ বৎসর সাজার মধ্যে জেলকোড অনুযায়ী ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ২ বৎসর যাবৎ জেল খাটছেন (উল্লেখ ১/১১ সরকারের সময় তিনি ৯ মাস কারাগারে ছিলেন)। বিচার চলাকালে তিনি জামিনে থেকে রায় ঘোষনার দিনও বিচারিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচার চলাকালে জামিনে থাকাও আপীলে জামিন পাওয়ার একটি গ্রাউন্ড হিসাবে বিবেচিত হওয়ার অনেক নজীর দেশ বিদেশের উচ্চ আদালতের রয়েছে।

জামিন শুনানীর পূর্ব দিন অর্থাৎ ০৪/১২/২০১৯ ইং তারিখে বেগম খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাসবাদের গডফাদার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষদের হত্যা করার চেয়ে বড় কোনো সন্ত্রাস নেই। খালেদা জিয়ার নির্দেশে পরিচালিত আগুন সন্ত্রাসে পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৫০০ লোক নিহত এবং তিন হাজারের বেশি আহত হয়েছে। কারাগারে খালেদা জিয়াকে গৃহপরিচারিকা দিয়ে আমরা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। বিশ্বে এ ধরনের আর কোন দৃষ্টান্ত নেই।” বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রে তার হাঁটুতে সার্জারি করা হয়। পরে সৌদি আরবেও তার একই চিকিৎসা করা হয়। কারাগারে খালেদা জিয়া রাজার হালেই আছেন।”

আদালত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, এ্যাপিলেট ডিভিশনের পরে আশ্রয় লাভের জন্য কোথাও যাওয়ার আর কোন স্থান বা অবস্থান নাই, এ কথা আইনজীবীদের জানা এবং এটাই মানুষের বিশ্বাস। যুগ যুগ ধরে “দেশ বৈরীতো দেশান্তরী, হাকিম বৈরী তো প্রাণে মরি” প্রবাদটি চলে আসছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আদালত একদিকে যেমন অত্যান্ত আস্থার প্রতীক, অন্যদিকে বিষয়টি অত্যান্ত স্পর্শকাতর, এবং সম্মানজনক। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর নিকট মাথা ঝুকিয়ে কথা বলার নিয়ম নাই যা রয়েছে বিচারপতিদের সামনে আদালতের এজলাসে। বিচার ব্যবস্থার সূচনালগ্নের ইতিহাস থেকে জানা যায়, বিচার করার অধিকার ছিল একমাত্র সার্বভৌম রাজার। পরবর্তীতে কালক্রমে রাজার দায়িত্ব পালনের পরিধি বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় রাজারা বিচারের দায়িত্ব ধীরে ধীরে তার নিয়োজিত একদল অভিজ্ঞ বিশ্বস্থ ব্যক্তির হাতে অর্পন করেন।

বিচারপতিগণ রাজার প্রতিভু বা প্রতিনিধি হিসাবে বিচার কাজ পরিচালনা করতেন। কিন্তু ন্যায় বিচারের তাগিদে আধুনিক বিচার ব্যবস্থা ধীরে ধীরে নিজস্ব স্বাতন্ত্রতা লাভ করে এবং যেখানে সার্বভৌম রাজতন্ত্র নাই সেখানে সরকার বা রাষ্ট্রপতিও ক্ষমতাসীন থেকেও বিচারের আওতাভুক্ত হতে হচ্ছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় সীমানায় ক্ষমতাসীন ব্যক্তির যে কোন সিদ্ধান্তের উপর হস্তক্ষেপ করার অধিকার বিচার বিভাগের উপর অর্পিত হয়েছে, যদিও ক্ষেত্র বিশেষে এর ভিন্নতা দেখা যায়। কোন কোন রাষ্ট্রে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়, বিচার বিভাগ কর্তৃক সরকারের তাবেদারীর দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কিছু কিছু রাষ্ট্রে থাকলেও প্রকৃত বাস্তবসম্মত গণতন্ত্র কার্যকর রয়েছে এমন রাষ্ট্রে সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানও বিচার বিভাগের নিকট জবাব দিহিতার আওতায় রয়েছে যেমন- আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারত। সেনাশাসকদের প্রভাব রয়েছে এমন রাষ্ট্রেও বিচার বিভাগ আস্থা ও স্বকীয়তার পরিচয় দিয়েছে, যেমন- পাকিস্তান।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮(৩) মোতাবেক রাষ্ট্রের সকল সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে নিতে হয়। উক্ত অনুচ্ছেদ যা বলা হয়েছে তা নিম্নরূপ :-

“এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাঁহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন ঃ তবে শর্ত থাকে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোন পরামর্শদান করিয়াছেন কি না এবং করিয়া থাকিলে কি পরামর্শ দান করিয়াছেন, কোন আদালত সেই সম্পর্কে কোন প্রশ্নের তদন্ত করিতে পারিবেন না।”

আর্তনাদটি ছিল আইনজীবীদের হতাশার একটি বহি:প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ০৪/১২/২০১৯ ইং তারিখে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মন্তব্য থেকেই হতাশার উৎপত্তি। যে বিষয়টি ০৫/১২/২০১৯ ইং তারিখে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারাধীন ছিল সে বিচারাধীন বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর আগাম মন্তব্য কি যুক্তিসংগত ছিল? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কি তার মূল প্রতিপক্ষ সম্পর্কে বিচারাধীন বিষয়ে আগাম মন্তব্য করতে পারেন? নৈতিকতার মাপ কাঠিতে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য সরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং আইন আদালতকে প্রভান্বিত করতে কি যথেষ্ট নয়? প্রধানমন্ত্রীর উক্ত উক্তি থেকে জামিন প্রার্থী আইনজীবীদের মনে হতাশা সৃষ্টি হওয়া কি অযৌক্তিক? অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ডিঙ্গিয়ে সরকারী ডাক্তারগণ বেগম খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থা সম্পর্কে কি সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবে? প্রেক্ষাপট কি বলে? আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ব্রিটিশের ঔপনিবেশিক ভাবধারায় লালিত। এ দেশের প্রশাসন “আদর্শে” চলে না, বরং চলে “আদেশে”।

“রোবটের” মতই আমলাদের আচরন। একই বিষয়ে সরকারী দল বা ক্ষমতাসীনদের প্রতি আমলাদের একরকম আচরন, সে অনুরূপ বিষয়েই বিরোধী দলের প্রতি আচরন একেবারেই ভিন্ন রূপ। বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র একটি বিবেকহীন “রোবট” মাত্র। চাকুরীতে প্রমোশন বা সুবিধাজনক লোভনীয় পদে পোষ্টিং এ আঘাত হানতে পারে এমন কোন ঝুকি আমলারা নেয় না। আমলারা ক্ষমতাসীনদের সেবাদাসে পরিনত হতে বেশী স্বাচ্ছন্ধ বোধ করে, ফলে ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তিতে আপামর জনগণের ভাগ্যে যা হবার তাই হচ্ছে। “রোবট” মার্কা আমলাতন্ত্র জাতির জন্য একটি বিষফোড়া হিসাবে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। কষ্ঠার্জিত অর্থে এ মাথা ভাড়ী প্রশাসনকে জনগণকে পুষতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের প্রতি সুবিচারের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে প্রধান বিচারপতি মিঃ এ. এস. এম. আকরাম এ নেতৃত্বে ১৭ই নভেম্বর/১৯৪৭ ইং ৬ জন বিচারপতি সমন্বয়ে ঢাকা হাই কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা হাই কোর্ট তথা পূর্ব পাকিস্তান হাই কোর্ট পরবর্তীতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট অনেক জটিল জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যা সরকার সমাধান দিতে পারে নাই সে সকল বিষয়ে নীতিমালা প্রনয়ন পূর্বক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দেয়ার গৌরব অর্জন করেছে, কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণত মূখামুখি অবস্থান নিতে পারে নাই, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। যেমন-তাৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি মিঃ বি. এ. সিদ্দিকী জেনারেল টিক্কা খানের শপথ গ্রহণে অস্বীকার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, বিচার বিভাগের অনেক গৌরোব্বজল ভূমিকা থাকলেও বিচারপতি বি.এ. সিদ্দিকীর মত দৃৃষ্টান্ত কোথায়?

বিচার ও আইন পাশাপাশি রাখলে বিচার বা বিচারকের জবাবদিহিতা ও দায়িত্ব অনেক বেশী। কারণ আইন প্রনীত হয় শাসক শ্রেণী দ্বারা, যারা নিজেদের শাসন ক্ষমতা আকরে রাখার বিষয়টি মাথায় রেখেই আইন প্রনয়ণ, সংশোধন ও প্রয়োগ করে। নিজেদের তৈরী আইন ক্ষেত্র বিশেষে শাসকগণ কোথাও প্রয়োগ করে, কোথাও করে না। কিন্তু বিচার বা বিচারককে তাড়িত হতে হয় সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ব “বিবেক” দ্বারা। শাসক সৃষ্ট “আইনের” চেয়ে “বিবেকের” পরিধি অনেক বড়, স্বচ্ছ ও কল্যাণকর। কিন্তু বিবেকের স্বাধীনতা যেখানে প্রতিবন্ধকতায় আবদ্ধ হয়, সেখানেই সৃষ্টি হয় বিপত্তি, আপত্তি ও বিশৃঙ্খলা। এ জন্যই গণমানুষের বদ্ধমূল ধারনা “বিবেকই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ট আদালত।”

আইনজীবী হিসাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শুনানীতে উপস্থিত থাকার জন্য সচেষ্ট থাকি। সে কারণেই ২৮ই নভেম্বর/২০১৯ ও ৫ই ডিসেম্বর/২০১৯ এ্যাপিলেট ডিভিশনে শুনানীর সময় উপস্থিত ছিলাম বিধায় প্রতিটি মুহুর্ত পর্যবেক্ষন করার সূযোগ আমার হয়েছে, বিএনপি’র একজন কর্মী হিসাবে হতে পারে অবচেতনমনে আমার পর্যালোচনা ভুল বা এক পেশে, তথাপি বিষয়টি পর্যালোচনা করা হলো একজন পর্যবেক্ষকের দৃষ্টি ভঙ্গিতে, আদালতের ভাবমূর্তি সম্মুনত রাখার উদ্দেশ্যে। একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে উপলব্দি করায় আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও পর্যবেক্ষনটি যাতে উদ্দেশ্য প্রনোদীত না হয়, এ জন্য সচেতন থাকারও চেষ্টা করেছি। তবে পর্যবেক্ষন সম্পর্কে যে কোন সম্মানীত পাঠকের আলোচনা, সমালোচনা বা তিরষ্কার সাদরে আমন্ত্রিত এবং কৃতজ্ঞতার পাশে আমাকে আবদ্ধ করবে।

লেখক
কলামিষ্ট ও আইনজীবি (এ্যাপিলেট ডিভিশন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here