ছাত্রদলের কাউন্সিল ও কিছু কথা ……আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ছাত্রদল কাউন্সিলকে ঘিরে চলমান কর্মকান্ড এবং শেষ পর্যায়ে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কিছু কথা সবার সাথে শেয়ার করার প্রয়োজন বোধ করছি। দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর পর সরাসরি ভোটে ছাত্রদল নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ঘিরে দল ও এর অভ্যন্তরে যে কর্মচাঞ্চল্য আর উৎসব মুখর অবস্থা বিরাজ করছিলো তা কেউ সরাসরি না দেখলে সেটা অনুভব করতে পারবে না।

বিশেষ করে আমাদের নেতা, অভাগা বাংলাদেশের ভবিষ্যত কান্ডারী, তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ছাত্রদল কাউন্সিলকে ঘিরে যেন প্রাণের সঞ্চার হয়েছিলো গোটা দলে। আজকে বিকাল পর্যন্ত সারাদেশ থেকে কাউন্সিলররা খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের কার্ড সংগ্রহ করেছে। গনমাধ্যমগুলো ছাত্রদলকে নিয়ে সত্য-অসত্য যেটাই হোক মোদ্দা কথা হল ছাত্রদল বন্দনায় মেতেছিলো। সারাদেশের মানুষের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছিলো ছাত্রদল কাউন্সিল।

আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন হলো সরকার প্রথমে এটিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু অচিরেই তারা বুঝতে পেরেছিলো বিএনপির ভ্যানগার্ড আবারও তার গর্জনে অবৈধ সরকারকে তটস্থ করার সক্ষমতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। আর সেটাকে রুখতেই ভয়ংকর নীল নকশার আশ্রয় নিল তারা। লক্ষ্য করুন আগামী শনিবার ছাত্রদলের কাউন্সিল। শুক্রবার-শনিবার সরকারি অফিস আদালত বন্ধ। ঠিক এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার প্রায় সন্ধ্যার সময় শুধুমাত্র একাত্তর টিভি সমেত আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ তড়িৎ গতিতে বিএনপি অফিসে পৌঁছে দেয়া হল।

যেখানে আদালতে দিনের পর দিন পরে থাকা মামলার শুনানির জন্য অপেক্ষা করেও তারিখ পাওয়া যায়না। যেখানে আদালতে রায় হলে হাজারো চেষ্টা করেও তড়িৎ সেই রায়ের কপি পাওয়া যায়না। সেখানে নজিরবিহীন দ্রুততায় ছাত্রদলের কাউন্সিলকে ভিন্ন উপায়ে বন্ধ করার জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। ঘটনাটা যদি সকালে করা হতো সেটাও না হয় হতো। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো দিনের শেষ সময়ে, যেন পাল্টা কোন ব্যবস্থা না নেয়া যায়। নিষেধাজ্ঞার জন্য কাজে লাগানো হয়েছে ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদককে। যেখানে সে এই কাউন্সিলের না প্রার্থী, না ভোটার।

আসলে এসব কিছুই না। সরকার ছাত্রদলের পুর্ণগঠনকে ভয় পাচ্ছে, ভয় পাচ্ছে বিএনপিকে। বিএনপি যে দলের বর্তমান কান্ডারী জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় ক্রমেই তার হারানো শক্তি সঞ্চয় করছে, সেটা তারা বেশ বুঝে গেছে। কিন্তু তারা যেটা বুঝছেনা সেটা হলো ঘণীভূত সাইক্লোনকে যেমন আটকানো যায়না, তেমনি ছাত্রদল তথা বিএনপিকেও আটকানোর দিন শেষ।

আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে হলেও ছাত্রদলের কাউন্সিল অবশ্যই করবো এবং সেটা সফলও হবে ইনশাল্লাহ। তবে আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে সেটা আগামী শনিবার হবে কিনা সে বিষয়ে সিনিয়র নেত্ববৃন্দ সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে কুচত্রী মহলকে এটা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, ছাত্রদলকে আর দাবিয়ে রাখা যাবেনা।

বাংলার রাখাল রাজা শহীদ জিয়ার দল, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার দল, বর্তমান বাংলাদেশের রক্ষাকর্তা তারেক রহমানের দল, তথা বাংলার জনমানুষের দল জাতীয়তাবাদী দল এই বাংলার মানুষকে অত্যাচারের নাগপাশ থেকে অবশ্যই রক্ষা করবে এবং অবশ্যই বাংলায় গনতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। যেখানে বিরোধী দলের মানুষরা তাদের সকল গণতান্ত্রিক কার্যক্রম বিনা বাঁধায় করতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here