প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তারা মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পবিত্র রমজান মাসেও বন্ধ হচ্ছেনা গানের আসর। রাতভর চলে নারী-পুরুষের আশ্লীল উন্মাতাল নৃত্য। গানের আসরের আড়ালে চলছে আসামাজিক কাজ ও রমরমা মাদক ব্যবসা। এসব বেহায়াপনাতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ।স্থানীয়দের অভিযোগ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও একশ্রেণির ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে কয়েকটি স্থানে রাতে গানের আসর বসানো হয়।
আসরে লোকসমাগম ঘটাতে উদিয়মান নারী বাউল শিল্পির ব্যবস্থা করেন আয়োজকরা। অর্থ হাতিয়ে নিতে তারা গানের আসরের নামে মূলত মিলায় মাদকের হাট। চালায় অসামাজিক কাজ। আসরকে ঘিরে তৎপরতা চালায় ব্যালাকমেইল ও ছিনতাইকারী চক্র। গানের বাজনার তালে-তালে নারী-পুরুশের উন্মাতাল নৃত্য আর হুইহুল্লায় আশপাশের বাসিন্দাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অসহ্য হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ মাদকসেবিদের মতলামিতে।
এসব বিষয়ে বহুবার থানা পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানালেও কোন প্রতিকার মিলছেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রো অ্যাকটিভ হাসপাতালের উল্টোপাশে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিতির ব্যানারে রাতে গানের আসর বসায় ইমরান দেওয়ান। এ আসরে গানের নামে চলে অশ্লীলতা। নারী দিয়ে পুরুষদের করা হয় ব্যালাকমেইল। গানের পাশাপাশি প্রকাশ্যে চলে গাজা ও মদ সেবন।
নারীদের দিয়ে অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গিমায় আসর জমিয়ে স্রাতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। পবিত্র রমজান মাসেও মাইকে উচ্চ শব্দে গান করায় অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা।সরেজমিনে গানের আসরে গিয়ে দেখা গেছে অশ্লীলতার বাস্তব চিত্র। গান আয়োজনের আড়ালে অভিনব কৌশলে চালানো হচ্ছে অশ্লীলতা। গান ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দেখে নারী শিল্পিদের শরীরে টাকা ছুড়ে মারেন দর্শকরা।
একদিকে গান অপর দিকে দেদারছে চলে মাদক ব্যবসা।এবিষয়ে ইমরান দেওয়ান বলেন, থানা পুলিশ ম্যানেজ করেই গান চালাই। কয়েকদিন আগে পত্রিকায় নিউজ হয়েছিল। তিন দিন বন্ধ রাখার পর সবার সঙ্গে কথা বলে আবার চালু করেছি।