প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগের নেপথ্যে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী; সচেতন মহলের এমন অভিযোগ পুরনো হলেও তা আলোচনায় এসেছে নতুন করে। সম্প্রতি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন নারায়ণগঞ্জ ডিভিশনের নারায়ণগঞ্জ সদর ও সিদ্ধিরগঞ্জের টেকনিশিয়ান এর সাহায্যকারী শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগের পর থেকেই তিতাসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারিদের দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়টি পূনরায় আলোচনায় এসেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে এসব অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিতাসের সাহায্যকারী হলেও অবৈধ টাকায় নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি । এসব অসাধু কর্মচারীদের কারণে পর পর কয়েকটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে বিস্ফোরণসহ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগে উঠেছে।এদিকে,তিতাসের অন্যান্য অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের তীর ছুড়ছে সচেতন মহল।
অভিযোগ কারীদের মধ্যে অনেকে জানান, শামসুদ্দিন তিতাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম করে মাসে মাসে টাকা তোলার ও অভিযোগ উঠেছে । তাই, অবৈধ সংযোগের অর্থ অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটেও যাওয়ার কথা! জেলাজুড়ে অবৈধ পন্থায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে তিতাসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অসাধু মহলের পকেট ভারি হলেও হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।অভিযোগকারীরা জানান নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে তিতাসের গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ রয়েছে। তবে, ২০১৫ সালের পর নারায়ণগঞ্জ সদর সিদ্ধিরগঞ্জে গড়ে উঠা অধিকাংশ আবাসিক ভবন এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ।
এমনকি বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা নিয়েও হচ্ছে অনিয়ম। ফলে বৈধ গ্রাহকদের প্রশ্ন, ২০১৫ সালের পর থেকে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেয়ার বিষয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এসব বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের সংযোগ এলো কি করে ? শামসুদ্দিন তিতাস কেন্দ্রীক নানা অপকর্মে লিপ্ত। গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে নানাভাবে অনিয়ম ও দূর্নীতি করে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তার বাৎসরিক আয় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
এ অবৈধ আয় দিয়ে নামে বেনামে ক্রয় করেছেন জমি ও ফ্ল্যাট।ডেমরা রানীমহল বালুঘাটে দের কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন প্লেট।সে প্রায় বাসা বাড়িতে ও কল-কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে মাসিক ও বাৎসরিক টাকা আদায় করে আসছে বছরের পর বছর ধরে। এ অবৈধ গ্যাস সংযোগ তিতাসের অভিযানে বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরবর্তিতে টাকার বিনিময়ে তা পুণরায় সংযোগ দিয়ে আসছে শামসুদ্দিন ।
নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘদিন চাকরি করার কারনে বদলী হলেও সে পূনরায় আবার বদলী হয়ে নারায়ণগঞ্জে যোগদান করে। তার সম্পদ ব্যাংক হিসাব ও স্ত্রী সন্তানের সম্পত্তির বিবরণী রহস্য উদঘাটন করলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য। শামসুদ্দিনের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলে তার মোবাইল টি বন্ধ পাওয়া যায়।