প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃসিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: “আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় অনেক নিউজ হয়েছে। আমার কিছু হয়নি। আমি যা করছি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই করতাছি। প্রশাসন ঠিক থাকলে নিউজ করলে কিছু হবেনা। শুধু শুধু নিউজ করে পত্রিকার পাতা নষ্ট না করে মাঝে মাঝে এসে চা খেয়ে যায়েন।” এমন দম্ভুক্তির সাথেই এসব কথা বলেন একাধিক চাঁদাবাজি মামলার আসামি সাইনবোর্ড এলাকার পরিবহন চাঁদাবাজ কামাল হোসেন মাসুদ ওরফে কাইল্লা মাসুদ।
জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ সাইনবোর্ড মোড়ে কাইল্লা মাসুদের নেতৃত্বে শশ্কিশালী একটি চাঁদাবাজ চক্র গড়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে মাসুদ মাসে কমপক্ষে ১২ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে। তাকে শেল্টার দিচ্ছে ক্ষমতাসিন দলের এক নেতার পালিত সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের শেল্টার ও পুলিশ প্রশাসনের নিরবতায় মাসুদ বাহিনী দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বাড়ছে চাঁদার অংক। এতে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে ছোট পরিবহন ও ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসুদের চাঁদাবাজির প্রধান উৎস সাইনবোর্ড সিএনজি স্ট্যান্ড।
সন্ত্রাসী কায়দায় ফুটপাতের দোকানপাট ভেঙে দিয়ে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে সিএনজি স্ট্যান্ড বানিয়ে চাদাঁবাজি করছে মাসুদ। ভোর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে মাসুদের চাঁদাবাজি। তার চাঁদাবাজি নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশ নির্বিকার। তবে র্যাব-১১ বাহিনীর সদস্যরা তাকে দুইবার গ্রেফতার করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেও অল্প কিছুদিন জেল হাজত বাস করে জামিনে বেড় হয়ে আবার চাঁদাবাজি শুরু করে মাসুদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজি চালক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রতি সিএনজি থেকে দৈনিক ১০০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে
মাসুদ। সাইনবোর্ড থেকে লিংকরোড দিয়ে আদালত প্রাঙ্গন পর্যন্ত চলাচলরত প্রায় আড়াইশতাধিক জিএনজি থেকে দৈনিক ১০০ টাকা করে
প্রায় ২৫০০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে মাসুদ। যা মাসে দাঁড়ায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। তাকে চাঁদা না দিয়ে এসড়ক দিয়ে গাড়ি চালানো
যায়না। এছাড়াও মাসিক ১ থেকে দেড় হাজার টাকা মাসোহারা ভিত্তিতে চাঁদা নিচ্ছে মাসুদ।
সাইনবোর্ড ও শিমরাইল এলাকার দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের টিআই একেএম শরফুদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, সাইনবোর্ডে মাসুদের চাঁদাবাজির বিষয়টি অবগত আছি। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।