সিদ্ধিরগঞ্জে কলেজ ছাত্র “ইমন” হত্যাকারী রাসেল-রাজু গংদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ইমন হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে লাশ রেখে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজনসহ স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে চারটা থেকে ঘন্টাব্যাপি বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে স্লোগান দেয়।খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোকারীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

এ সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যান জটের সৃিষ্ট হয়। এবং স্বজনদের হাহাকারে পুরো এলাকা উচ্চ কন্ঠস্বরেও নিস্তব্দ হয়ে পড়ে।নিহত ইমনের বাবা শাহ্ আলম বলেন, তার ছেলে ইমন ও শাহরিয়ারকে রাসেল ও রাজু ওরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি তার ছেলে হত্যাকারীদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।আহত শাহরিয়ারের বোন ফারজানা আক্তার জানান, রাসেল ও রাজু এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করতো। এসব অপকর্মে বাধা দেওয়ায় তার ভাই শাহরিয়ার ও ইমনের ওপর হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।

রাতে ইমনের মৃত্যু হয়েছে। তার ভাই শাহরিয়ার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয়রা বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে একজন জনপ্রতিনিধি শেল্টারে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে রাসেল ও তার সহযোগীরা। নিহত ইমন ও হামলাকারী রাসেন ওরফে ডংকু রাসেল দুজন বন্ধু ছিলেন। ডংকু রাসেল দিন দিন বখাটে হয়ে যাচ্ছে।সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও সে কাঁচপুরে নুরআলম খানের সহযোগী পরিচয়ে বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা ওঠাত। এছাড়াও প্রতারনার মাধ্যেমে মানুষদের অপহরণ করত। তার নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। এক পর্যায়ে নিহত ইমন  রাসেলের সাথে আর মিশতে চাইত না। এরপর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্ধ¦।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মশিউর রহমান জানান, বিকালে নিহত ইমনের স্বজনরা বিক্ষোভ করলে তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেই। নিহত ইমন ও রাজুসহ উভয় গ্রুপের সদস্যদের ছিনতাই ও অপহরণের মামলায় র‌্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের একে অপরকে গ্রেপ্তারের পেছনে একে অপরকে দায়ী করে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। পরে ইমন ও জয়কে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়।পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ইমনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

একই ঘটনায় জয় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি।প্রসঙ্গত, পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ রাসেল গ্যাংয়ের ৮/১০ জন সদস্য নিয়ে বুধবার সকালে ইমনকে তুলে নিয়ে মারধর করে। বিকেলে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে আবারও রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাগমারা এলাকায় তার উপর হামলা চালায় রাসেল ও তার সহযোগীরা।

একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে মো. ইমন ও শাহরিয়ার জয় নামে অপর এক যুবক আহত হয়।পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসারতবস্থায় ইমনের মৃত্যু হয়।নিহত মো. ইমন সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৩নং ওয়ার্ডে আদর্শনগর এলাকার মো. শাহ্ আলমের ছেলে। সে একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করতো।

আহতদের মধ্যে শাহরিয়ার জয় তেজগাঁও পলিটেকনিকের ছাত্র। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here