প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ গত কয়েক দিনে আবারও মশার উপদ্রব বেড়েছে। দিনে মশা রাতেও মশা। মশাই যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর! পর্যাপ্ত ওষুধ না ছিটানোয় সিদ্ধিরগঞ্জে মশার উপদ্রব বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জে মাঘের অন্তিম মূহুর্ত থেকে ব্যাপকভাবে মশার উপদ্রব বেড়েছে। তবে মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোর কোন উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুঁড়ি এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। কোথাও এক মিনিট নিরাপদে বসা যাচ্ছে না। ইলেকট্রিক ব্যাট, অ্যারোসল, কয়েল জ্বালিয়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছি না।
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী পূর্বপাড়ার সমাজকর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। দীর্ঘদিন সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কার্যক্রম এলাকায় না থাকায় দিন দিন মশা এতোটাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে যে, ঘরোয়াভাবে মশা নিধন করা যাচ্ছে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদ জানান, মশার উপদ্রব এতোটাই বেশি যে, দুপুরের পর থেকে ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো মশা যাচ্ছে না। আগে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মশার ওষুধ ছড়ানো হতো। কিন্তু কয়েক মাস ধরে এ কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে কথা হলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিরর হাজী ওমর ফারুক জানান, প্রতিমাসে দুই বার নাসিকের পক্ষ থেকে ৪ জন করে লোক এসে ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া দেয়। এছাড়াও নাসিকের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৫ জন করে লোক দিয়ে ঔষধ ছিটানো হয়।
এদিকের নাসিকের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিরর আরিফুল হক হাসান বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে একটি ফগার মেশিন ক্রয় করেছি। নিজস্ব লোক দিয়ে প্রতিদিন ৪ নং ওয়ার্ডের এলাকায় এলাকায় গিয়ে ফগার মেশিনে ধোঁয়া দেয়া হচ্ছে।সিটি করপোরেশনের কাছে নগরবাসীর দাবি, অতি দ্রুত মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার। প্রতিটি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন করা এবং ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা।
এ বিষয়ে নারায়গঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন,মশা নিধনের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখছে নাসিক।সিদ্ধিরগঞ্জের মশার উপদ্রব কমাতে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।