প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারীদের দাপটে
প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ফলে মাঠ পর্যায়ের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী
দলীয় হাই কমান্ডের চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সহ সাধারন সম্পাদক কাজী গোলাম কবির ২০১২-১৫ মেয়াদে যুবদলের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
সেসময় তিনি সরকারের সকল কর্মকান্ডে বাধাঁ প্রদান করেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি নানা কটুক্তি করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করেছেন। অথচ সেই যুবদল নেতাই এখন জাতীয় শ্রমিকলীগের নারায়ণগঞ্জ মহানগর ৮ নং ওয়ার্ডের আগামী দুই বৎসরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। উক্ত কমিটি জাতীয় শ্রমিকলীগের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি কাজীম উদ্দিন প্রধান ও সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না অনুমোদন করেছেন।
একটি সুত্র জানায়, বিগত ২০১৫ সালের ২০ জুলাই জাতীয় শ্রমিকলীগের নারায়ণগঞ্জ মহানগর ৮ নং ওয়ার্ডের অনুমোদিত কমিটির সভাপতি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর আদর্শের সৈনিক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতা নেহার উদ্দিন। তিনি ১৯৭৫ সাল থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এবং দলকে ভালো বাসেন বলেই এই পরিনত বয়সে এখনো দলীয় পতাকার আশ্রয়ে রয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি আওয়ামীলীগের একজন পরীক্ষিত নেতা হওয়া স্বত্বেও আমার দেয়া কমিটিকে উপেক্ষা করে মহানগর নেতৃবৃন্দ বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারীকে সভাপতি করায় আমি লজ্জিত।
দলে আমি ছাড়াও অনেক ত্যাগী ও যোগ্য নেতা রয়েছেন তাদের কাউকে সভাপতি করলেও দল অনেক উপকৃত হতো। আগামীতে বিষয়টি আরো কঠিন ভাবে উপলব্দি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে জাতীয় শ্রমিকলীগের নারায়ণগঞ্জ মহানগর ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সভাপতি কাজী গোলাম কবির বলেন, আমার গোটা পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার ব্যাক্তিগত টাকা দিয়ে ১৫ আগষ্টের জাতীয় শোক দিবসে গরু জবাই করে বিশাল আয়োজন করে থাকি।
তবে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।নারায়নগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু জানান,কাজী গোলাম কবির সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সহ সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তবে তার মত নেতা বিএনপি থেকে চলে গেলেও বিএনপি’র কোন ক্ষতি হবেনা বলে তিনি জানান।
