থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাজুর উপর হামলায় উত্তাল সিদ্ধিরগঞ্জ, প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আমিনুল হক ভুঁইয়া রাজুর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অনুপ্রবেশকারী নব্য আওয়ামীলীগার শিব্বির আহমেদের নেতৃত্বে পরিকল্পিত ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে আবারো সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তাল হয়ে উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৪টায় সিদ্ধিরগঞ্জ পুলে মজিব ফ্যাশনের সামনে থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভায় আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উত্তপ্ত বক্তব্যে এ নেক্কার জনক হামলার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ একাট্টা হয়ে উঠেছে। এসময় তারা দলের অনুপ্রবেশকারী সুবিধাভোগী হাইব্রীডদের সংগঠনের সকল পদ-পদবী থেকে বাতিল ও প্রবেশ বন্ধ করার জন্য জোড়ালো দাবি তুলেছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূরে আলমের সভাপতিত্বে এবং থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাজী জহিরুল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, বাদল মেম্বার, আমিন উদ্দিন, থানা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক এম এ জামান, জেলা কৃষকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হেকিম, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সভাপতি হাজী আব্দুস সামাদ বেপারী, থানা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, মহানগর যুব মহিলালীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মনিরা সুলতানা মনি, আওয়ামীলীগ নেতা সুলতান মো: গিয়াস উদ্দিন টুলু, আলী হোসেন মেম্বার, হক মেম্বার ও সিদ্দিকুর রহমান আবুল প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী ইয়াছিন মিয়া বলেন, একের পর এক ঘটনা হচ্ছে ঘটছে। গত নির্বাচনের পূর্বেও আমার বাড়ীতে হামলা করে ৪টি হুন্ডা জ¦ালিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো সেই ঘটনার বিচার পাইনি। সে কারনেই আমাদেরকে দূর্বল করার জন্য একের পর এক আমাদের নেতাকর্মীদের টার্গেট করে ন্যাক্কারজন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।

তাই আমাদের প্রানপ্রিয় সংসদ সদস্যকে বলবো, আপনি সবাইকে চিনেন এবং জানেন। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটি অঙ্গ সংগঠনের কমিটি করার আগে এসব অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে নিবেন। কারন হাইব্রীডরা আমাদের সাথে মিশে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আমি রাজুর উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

সিদ্ধিরগঞ্জ ইউপি মহিলা আওয়ামীরীগের সাধারন সম্পাদক শাহনাজ পারভীন বলেন, আপনারা এই হাইব্রীডদের শেল্টারদাতাদের ধরেন। শীর্ষ নেতৃবৃন্ধদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তাদেরকে তো আমরা না হয় আপনারা শেল্টার দেন। আপনারাই এই হাইব্রীডদের বীজ বপন করেছেন।

আজ রাজুকে মেরেছে, কাল আমাকে মারবে, পরের দিন আপনাকে মারবে এবং পরের দিন শামীম ওসমানকে মারবে। স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাজী জহিরুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অঙ্গ সংগঠনগুলোর কমিটি না হওয়ায় অনুপ্রবেশকারীরা নেতাদের পা চেটে পদ বাগিয়ে নিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। থানা কৃষকরীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া বলেন, দলের সু:সময়ে রাজু আন্দোলন সংগ্রামে অনেক কাজ করেছে। তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাই। যারা আওয়ামীলীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদেরকে সম্মান দিতে জানে না, তাদেরকে যেন কোন অঙ্গ সংগঠনে না নেয়া হয়।

থানা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক এম এ জামান বলেন, আজকের এই সভা প্রতিবাদ সভা নয়। আজকের সভা দলের আগাছা-পরগাছা ও হাইব্রীডদের ঝাটিয়ে বিদায় করার সভা। দল ক্ষমতায় আসার পর কিছু সুবিধাভোগী লোক শীর্ষ নেতৃবৃন্ধের চাটুকারী করে পদ বাগিয়ে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সভাপতি হাজী আব্দুস সামাদ বেপারী বলেছেন, দূ:সময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা লাঞ্চিত-বঞ্চিত হচ্ছি। কিছু সুবিধাভোগী হাইব্রীড অনুপ্রবেশকারী দলের ভিতরে প্রবেশ করে আমাদেরকে দূর্বল করার জন্য অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে নূরে আলম বলেন, শিব্বিরের প্রতি নিন্দা জানাই না, প্রতিবাদ জানাই সেসব নেতার প্রতি যারা এসব হাইব্রীড নেতা তৈরী করেছেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এইচ এম শাহজালাল, ইলিয়াস মোল্লা, আহমেদ আজিজ, আরজু মিয়া, নজরুল প্রধান, আলমগীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সোহাগ মৃধা, মহিউদ্দিন, লিটন, আশ্রাফ খান, লিটন সিকদার, সাক্কু, ১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আব্দুল জব্বার শিবলু, টিপু সুলতান, থানা যুবলীগ নেতা এম এস সানী, মাসুদ রানা, সেলিম মাহমুদ, ফারুক হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মজিদসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ প্রমূখ। উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতার উপর হামলা হয়। হামলার পর জনতা ওসমান নামে এক হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়।

হামলার শিকার ওই নেতা দাবি করেন, স্বেচ্ছাবেকলীগে অনুপ্রবেশকারি বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী সিব্বির আহমেদ ও তার ভাই জসিমের নেতৃত্বে , ইফরু, রহিম বাদশা, জয়নাল, ওসমান, কবির, মাসুদ ও ইস্কান্দারসহ ১২ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায়। এসময় তাকে মারধর করে ঠিকাদারী ব্যবসার নগদ ৫ লাখ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন লুটে নেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here