সিদ্ধিরগঞ্জে নতুন সিণ্ডিকেটের কব্জায় ভূমি পল্লী

0
সিদ্ধিরগঞ্জে নতুন সিণ্ডিকেটের কব্জায় ভূমি পল্লী

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকায় ভূমি পল্লী আবাসন প্রকল্পে চলছে আধিপত্যের
লড়াই। আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাড়ির মালিকদের সঙ্গে আতাঁত করে বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন বাড়ির মালিক ভূমি পল্লীর নিয়ন্ত্রন করতে গড়ে তুলেছেন নতুন সিণ্ডিকেট। তারা পেষিশক্তির মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির নেতাদের ম্যানেজ করে ভূমি পল্লীকে নিজেদের কব্জায় নেওয়ার অভিযোগ জানান সমিতির নিয়জিত সার্ভিস চার্জ
আদায়কারী মোহাম্মদ জিয়াউল হক ভূঁইয়া।

জানা গেছে, ভূমি পল্লী আবাসন অভ্যন্তরে সিকিউরিটি সার্ভিস, মশা নিধন, রাস্তা-ড্রেন পরিচ্ছন্নতা ও বাসাবাড়ির বর্জ্য অপসারণ চার্জ আদায় করার জন্য লিখিতভাবে গত বছরের ১ নভেম্বর ও সমিতির বকেয়া আদায়ের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আবাসনের ৩ নং সড়কের এ-১৭/১ নং প্লট মালিক মোহাম্মদ জিয়াউল হক ভূঁইয়াকে দায়িত্ব দেন, ভূমি মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন খান।

জিয়াউল হক বলেন, দায়িত্ব পেয়ে আমি ফ্ল্যাটপ্রতি সমিতির নির্ধারিত সিকিউরিটি সার্ভিস চার্জ ১৫০ টাকা, গৃহস্থালি বর্জ্য আপসারণ ১০০ টাকা, রাস্তা-ড্রেন পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধন বাবদ ৫০ টাকা করে আদায় করে আসছি। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে যাদের আধিপত্য ছিল সেসব কিছু বাড়ির মালিকদের সঙ্গে গোপন আতাঁত করে নব্য বিএনপি বনে যাওয়া ১ নং সড়কের বাড়ির মালিক সোলায়মান ও ৪ নং সড়কের ওমর ফারুক সোহেল সিণ্ডিকেট উল্লেখিত সার্ভিস চার্জ দেয়নি।

ফলে সোহেলের কাছে প্রায় ২৬ হাজার ও সোলায়মানের কাছে ১৩ হাজার টাকা বকেয়া জমে যায়। বকেয়া পরিশোধের জন্য চাপ দিলে তারা তাদের সিন্ডিকেটের বাড়ির মালিক ও বহিরাগত লোকজন নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সমিতির কার্যালয় ঘেরাও করে। আমাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তাদের পছন্দের লোককে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সমিতির কর্মকর্তাদের চাপ প্রয়োগ করেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সমিতির সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন খান আমাকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়ার আশ^াস দিলে তারা ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। পরে বিনা দোষে ২ ফেব্রুয়ারি আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের পছন্দের লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে সততা যাচাই করে ন্যায় বিচারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে ওমর ফারুক সোহেল বলেন,সমিতির সার্ভিস চার্জ আদায়ের জন্য আমরা জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেই নি। তিনি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ভূমি পল্লীর ভিতরে ও বাইরের ফুটপাত ও ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দৈনিক ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। এতে বিএনপি ও পল্লীর বদনাম হচ্ছে। তাই তার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। জিয়াউল হককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সমিতির সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন খান বলেন, কোন অনিয়ম বা অভিযোগে নয় পল্লীরকিছু বাসিন্দাদের দাবির প্রেক্ষিতে পল্লীর সার্থে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

তবে সিণ্ডিকেটের আধিপত্যের বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন পাটোয়ারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি একটি মিটিংয়ে ব্যস্থতা দেখিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান। এর পর  একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here