প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:সিদ্ধিরগঞ্জে সুবিধাবাদী বিএনপি নেতাদের সাথে গোপন আঁতাত করে বীরদর্পে এলাকায় ফিরছে আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতাকর্মীরা। বহুল বিতর্কিত যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতির ঘনিষ্ট সহযোগী ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি লিটন ওরফে গুজা লিটন, আক্তার হোসেন ওরফে পানি আক্তার, গোলাম
মোহাম্মদ খান গুলো, ইউসুফ খান, আবু খান, নিয়াজ খান ও বিহারী কলোনির মাদক সম্্রাট নাহিদ ইতোমধ্যে এলাকায় ফিরে
এসছে।
আওয়ামী লীগের এসব দোসরদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সুবিধাবাদী বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক ফায়াদা হাসিল করতে প্রতিপক্ষকে গায়েল করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এতে বিএনপির প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম
ক্ষোভ। বিএনপির দলীয় একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডে ত্রাসের রাজত্ব কামেয় করেছিল যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতি। গড়ে তুলেছিল বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। আদমজী ইপিজেডসহ সমস্ত এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি, জমি দখল, চোরাই জ্বালানি তেল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতেন মতি বাহিনী।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মতি ও তার বাহিনী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। মতি পালিয়ে যাওযার পর সুবিধাবাদী বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের কথিপয় নেতা রাতারাতি মতির সকল অবৈধ আয়ের উৎস দখল করে নেয়। তারা তাদের দখল বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে মতির ঘনিষ্ট সহযোগীদের সাথে গোপন আতাঁত করে। অবৈধ আয়ের ভাগ দেওয়ার গোপন চুক্তিতে মতির সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কথিপয় সুবিধাবাদী বিএনপি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা আদমজী ইপিজেডে মতির নিয়ন্ত্রিত সকল কারখানার ঝুট ব্যবসা নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয়।
তারা বনে যায় মতির সম্্রাজ্যের নতুন রাজা। সূত্রটি জানায়, নাসিক ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের সুবিধাবাদী কয়েকজন বিএনপি নেতা ও সাবেক ওই ছাত্রদল নেতা মতির সম্্রাজ্যে রাজত্ব করতে গোপন আঁতাত করেছেন মতির ঘনিষ্ট সহযোগী ও সন্ত্রাসী বাহিনীর কমাণ্ডারদের সাথে। ফলে তাদের পরোক্ষ মদদে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি মতির অন্যতম সহযোগী আক্তার হোসেন ওরফে পানি আক্তার, তাঁতীলীগ নেতা লিটন ওরফে গুজা লিটন, গোলাম মোহাম্মদ খান গুলো, ইউসুফ খান, আবু খান, নিয়াজ খান ও বিহারী কলোনির মাদক সম্্রাট নাহিদসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এলাকায় ফিরে এসেছে।
আওয়ামী লীগের এসব দোসররা এখন সুবিধাবাদী বিএনপি নেতাদের ঘনিষ্টজন হয়ে উঠেছে। কাজ করছে তাদের পকেট ভারী করার হাতিয়ার হিসেবে। ফলে ত্যাগী ও পরিক্ষিত বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। দলে সৃষ্টি হচ্ছে বিবেদ।