প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখলে নিতে প্রতিপক্ষের দ্বারা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে কুপিয়ে আহত ও জখম করা হয়। রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন রুমান হাসান (২২), ইমামুল ইসলাম ইমু (২৫), মো. নাজেমুল ইসলাম (২৮), আশরাফ মিয়া (৫২) এবং নাঈম হাসান (৩০)। জানা যায়, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুক্তভোগীদের সঙ্গে প্রতিপক্ষের ঝামেলা চলে আসছিল।
আহতদের অভিযোগ, তারা অবৈধভাবে জমি দখলে নিতে তাদের উপর এই হামলা করেন। আমাদের কাছে সব বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। কাগজপত্র অনুযায়ী যদি আমরা এই জমির মালিক না হই তাহলে স্বেচ্ছায় এই জমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি। এর আগে আশরাফ উদ্দিন এ ঝামেলা নিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সেনাবাহিনীর সিদ্ধিরগঞ্জের ক্যাম্পে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এক অভিযোগ দায়ের করেন।
তারা হলেন, নুরুল হক (৫৪), নুর ছালাম (৫৬), শাহজাহান সাজু (৫২), সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল (৩৫), নুর উদ্দিন মিয়া কমিশনার, রাজু, নাজমুল, মো. আলমগীর, মো.সাদেক আলী, মো. বারেক, মো. ফারুক সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করায় প্রতিপক্ষ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বলে অভিযোগ আহত আশরাফ উদ্দিনের। আশরাফ উদ্দিনের ছেলে আহত নাইম হাসান বলেন, সকাল ১০টার দিকে আমার বাবাকে মিস্ত্রী কল দিয়ে বলে কয়েকজন লোক আমাদের জমির সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
খবর শুনে আমরা চার ভাই একজন একজন ওইখানে যাই। পরে গিয়ে দেখি আমার এক ভাইকে মনির, মনিরের ভাগিনা ওদুদ, মনিরের বাবা গনি কুপাচ্ছেন। ওরা সাবেক কাউন্সিলর ফারুকের চাচা ও চাচাতো ভাই লাগে। তাদের সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এসময় আমার এক ভাইকে চাকু দিয়ে কুপিয়েছে। আমার বাবাকে চাকু দিয়ে পিঠে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে তখন পুলিশ ছিল। পুলিশ ছিল এই কারণেই যদি আমরা গ্যাঞ্জাম করি তাহলে ওনারা অ্যাকশন নিবে।
পুলিশ এর আগেও আমাদের একবার থ্রেট দিয়েছিল। পুলিশ শুরু থেকেই তাদের পক্ষে ছিল। পরে তারা মেরে আমাদের ৫জনকেই পুলিশের গাড়িতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ রযাব-১১ অফিসে সামনে যাওয়া মাত্রই আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পরে আমরা চিকিৎসার জন্য খানপুরে হাসপাতালে যাই। আমরা এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করি নাই।
এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ করার পাশাপাশি সেনাবাহিনী, রযাবের সাহায্য চাইবো। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সত্য নয়। পুলিশ মূলত খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এর আগেই এ ঘটনা ঘটে যায়। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ হয় নি।