প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাওলানা রবিউল ইসলাম নামে
এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার(৯ জুলাই) রাত ১০ টায় আইয়ুব নগর ওমরপুর এলাকার গ্লোবাল অ্যাডোকেশন ইনস্ট্রিটিউট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে মামলা করেছেন ওই ছাত্রের মামা আল-আমিন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অর্থিক সুবিধা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নাসিক ৫ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি কবির হোসেন।জানা গেছে, আইয়ুব নগর ওমরপুর এলাকায় হাজী আব্দুর রশিদ ভিলা নামে বিলাসবহুল একটি ৬ তলা ভবন ভাড়া নিয়ে গ্লোবাল অ্যাডোকেশন ইনস্টিটিউট নামে একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন মাওলানা মানফুজুর রহমান। তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।
হিফজুল কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসাটিতে ছেলে-মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মাওলানা রবিউল ইসলাম (মো….) নামে ১২ বছরের এক শিক্ষার্থীকে একাধিকবার বলাৎকার করেন। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার অ]িাবকদের জানায়। পরে মঙ্গলবার রাতে ভিকটিমের স্বজনরা পুলিশকে জানিয়ে মাদ্রাসায় আসেন।
খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরাও ছুটে যান।ভিকটিমের অ]িাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ মাদ্রাসায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকে গ্রেপ্তার করে। তখন নাসিক ৫ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি কবির হোসেন মাদ্রাসায় ছুটে গিয়ে পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ভিকটিমের স্বজনরা রফাদফা করতে রাজি না হওয়া পুলিশ ওই শিক্ষককে রাতেই থানায় নিয়ে যায়।
পরে বুধবার দুপুরে ভিকটিমের মামা আল-আমিন বাদী হয়ে শিক্ষক রবিউল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন। বাদী আল-আমিন সোনারগাঁ থানার সন্মান্দি ইউনিয়ন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলে শিক্ষার্থীদের সাতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটনায় স্থানীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানে মেয়ে শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।
একাধিকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগা করা যায়নি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী কবির হোসনের সাথে। ফোনে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সমির বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে মামলা করলে আসামি মাওলানা রবিউল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি জানার পর রাতেই ওই প্রতিষ্ঠানে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি একটি মামলার স্বাক্ষী দিতে আদালতে আছি তাই বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছেনা।