না’গঞ্জে ‘করোনা উপসর্গ’ নিয়ে আরো একজনের মৃত্যু।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ‘করোনা উপসর্গ’ নিয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম হাজী আবু সাঈদ (৫৫)। শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টার দিকে তিনি চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেলেও বিষয়টি দিবাগত রাতে জানাজানি হয়।  আবু সাঈদ নামে ওই বৃদ্ধ গত ৮ থেকে ৯ দিন ধরে জ্বর-সর্দি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ কদিন বাড়িতেই তিনি চিকিৎসাধিন ছিলেন। শুক্রবার তার অবস্থার অবনতি ঘটে।

পরে বাংলাবাজার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি ও নয়মাটি এলাকার হোসেয়ারি ব্যবসায়ী রবিন ও তার কয়েকজন বন্ধু বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান। নিহত আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাশিপুর বাংলা বাজার আমবাগান এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। এ ঘটনার পর শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ওই এলাকা পুরো এলাকা লক ডাউন করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক মাইকিং করে এ লক ডাউন ঘোষণা করেন।

একটি সূত্র জানা যায়, আবু সাঈদ মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ তার ছেলে রবিন বাংলাবাজার নিয়ে আসতে চাইলে বন্ধুরা এতে বাধ সাধেন এবং আইইডিসিআরে পরীক্ষা করাতে বলেন। পরে, আইইডিসিআরে সংবাদ দেওয়া হলে নিহত আবু সাঈদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে এদিন রাতে আইইডিসিআরের রিপোর্টে তার পজিটিভ আসে। এরপরই সরকারি ব্যবস্থাপনায় খিলগাঁ তালতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বিশেষ ব্যবস্থাপনায়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, এমন কোনো খবর আইইডিসিআর আমাদেরকে জানায়নি। স্থানীয় পর্যায় থেকে এ খবর পাচ্ছি।  তবে, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরা যান বন্দর রসুলবাগ এলাকার শিউলী ওরফে পুতুল (৫০) নামে এক নারী। তিনি ৩০ মার্চ মারা গেলেও ২ এপ্রিল আইইডিসিআরের রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে।গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় যার মধ্যে দুইজনই ছিলেন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তারা ইতালী ফেরত স্বামী স্ত্রী ছিলেন। এরপর আরও একজনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসে। তিনি আক্রান্তদের সংস্পর্শে ছিলেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন শনিবার দুপুরে তার কার্য্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে করোনা বিষয়ক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলার করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, জেলা প্রশাসক জানান, বন্দর উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া নারীর পরিবারের সদস্যরাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

জেলায় এ পর্যন্ত ৫১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১৪ জনের শরীরে করোনা উপসর্গ না থাকায় মেয়াদ শেষে তারা ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০০জন। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here