প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বন্দর প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ বন্দরে যুবককে অপহরনের পর মুক্তিপণ নিয়েও অপহৃত ওই যুবক এবং তার বড় ভাইয়ের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ ও বিশ থেকে পঁচিশ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃতের বড়ভাই শফিউল্লাহ বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এস-আই) সামাদ বলেন, আমি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে উদ্ধার করেছি। বর্তমানে আমি রূপগঞ্জে বাণিজ্য মেলার ডিউটিতে রয়েছি তাই অভিযোগ দায়ের হয়েছে কিনা সঠিক বলতে পারছিনা।অপরদিকে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন তিনি এ অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি আনুমানিক রাত রহমত উল্লাহর ছেলে অমিত হাসানকে কদমরসুল পৌর এলাকার উইলসন রোডের বাসার সামনে থেকে অপহরন করে নিয়ে যায় অপহরনকারীরা। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপহৃতের মোবাইল দিয়ে তার বড় ভাই শফিউল্লাহকে ফোন দিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করা হয়।
অপহরনকারীদের কথা মত শফিউল্লাহ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বন্দর ছালে পাগলার মাজারের সামনে গেলে তাকে বালুর গাদার মধ্যে টাকা রাখতে বলে অপহরনকারীরা। পরে শফিউল্লাহ আরো লোকজন নিয়ে তার ভাইকে উদ্ধার করে রিকশায় তুলে ফেরার পথে অপহরনকারীরা তাদের উপরও আর্তকিত হামলা চালায়। এতে তাদের -আরেক ভাই মেহেদী হাসান গুরুতর আহত হয়।
এ সময় শফিউল্লাহ জরুরি সাহায্য চেয়ে ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে বন্দর থানার পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে মেহেদিকে নিয়ে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেন।