প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের বক্তারকান্দি,আমিরাবাদ ও দেউলি চৌরাপাড়া এলাকার মূর্তমান আতংক বন্দর থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আমজাদ ওরফে বল্টু আমাজাদ বাহিনী আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।আসন্ন ঈদ-উল-আযহা’কে সামনে রেখে ইজারাবিহীন গরুর হাট বসানো থেকে শুরু করে চাঁদাবাজী,রাহাজানী থেকে শুরু করে প্রতিদিন নানা অপকর্মের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী।
বল্টু আমজাদ ও তা গ্যাং হত্যা,ধর্ষণ,চাঁদাবাজী ও অস্ত্র মামলা কাধে নিয়ে দীর্ঘ দিন সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। তার বহিনীর হুকুমে চলে মাদক বিক্রি করায় দেউলী চৌরাপাড়া সোমবাড়িয়া বাজার লক্ষনখোলা ও তার আশে পাশে এলাকায় এলাকায় আকিজ এর গাড়ি চলাচল করে সে জন্য সেই গাড়ি বাবদ আকিজ কোম্পানির কর্মকর্তাদের ভয় দেখিয়ে তাদের থেকে চাঁদা দাবি করে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান হলেতো কথাই নেই মাসোহারা দিয়ে ওইসকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজ চালু করতে হয়।
গরুর হাট,ঘাটের ইজারা সবকিছুতেই বল্টু আমজাদ বাহিনী থাকে অগ্রভাগে। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ বা টু-শব্দ করলেই তাকে হয়তো জীবন নয়তো সর্বস্ব হারাতে হয়। দিনের পর দিন বল্টু আমজাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হওয়ায় দেউলসহ আশ পাশের চার গ্রামবাসীর রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বল্টু আমজাদ এর এখন নতুন কিশোর গ্যাং বাহিনীর কারণে প্রতিদিনই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় এলাকাবাসীকে। সেই কিশোর গ্যাং নেতৃত্ব দেয় তারই দুই ছেলে হৃদয় ও আপন বল্টু আমজাদ নিজেকে কখনো শামীম ওসমানের লোক কখনো বা আবার মেয়র আইভীর লোক আবার কখনো আজমীর ওসমানের লোক পরিচয়ে তাদের ছবি যুক্ত পোষ্টা ছাপিয়ে এসব অপকর্ম করে বেড়ায়।
তার একটি বিশাল বাহিনী রয়েছে যারা প্রতিনিয়তই মাদক বিক্রি চুরি,ছিনতাই,চাঁদবাজী করে থাকে। স্থানীয় থানা পুলিশের কতিপয় অসাধু সদস্যের সঙ্গে তার যোগসূত্র থাকায় ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলেও তা থেকে বঞ্চিত হন। অতিসম্প্রতি ওই এলাকার বেশ কিছুদিন আগে জনৈক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আহত ওই ব্যক্তি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দেয়।
বল্টু আমজাদের অপকর্মের এখানেই শেষ নয় এলাকায় আতংক ছড়াতে প্রতিদিন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র,টেঁটা-বল্লম নিয়ে দিনে দুই থেকে চারবার করে মহল্লা জুড়ে মহড়া দেয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বন্দর থানায় নতুন কোন অফিসার ইনচার্জ এলেই বল্টু আমজাদ নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা দাবি করে সেই অফিসার ইনচার্জকে নিজ বাড়িতে এনে আপ্যায়ন করে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করে নানান অপকর্ম করে বেড়ান।
তার ভবিষ্যত উত্তরসুরী দুই কু-পুত্র ছোটবেলা থেকেই বাবার পথ অনুসরণ করে মহল্লায় ত্রাসের রাম-রাজত্ব কায়েম করেছেন। তারা কিশোর বয়স থেকে বিভিন্ন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আবার তা ফেসবুকে পোষ্ট করে বেশ আলোচনায় উঠে আসে। এসব দৃশ্য চোখে দেখেও প্রতিবাদের সাহস পায়না শান্তিপ্রিয় গ্রামবাসী। ভয়ংকর সন্ত্রাসী আমজাদ বাহিনীর রাহুর গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে অসহায় গ্রামবাসী র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ান র্যাবসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের তদন্তপূর্বক কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।