বন্দরে সওজের বৃক্ষ অপসারণের নামে মালিকানা গাছ নিধনের অভিযোগ

0
বন্দরে সওজের বৃক্ষ অপসারণের নামে  মালিকানা গাছ নিধনের অভিযোগ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতাঃনারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনপুর হতে মদনগঞ্জ পর্যন্ত এলাকায় সড়ক ও জনপথের বৃক্ষ অপসারণ কাজের টেন্ডারের নামে মালিকানা গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে কথিত ঠিকাদারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর বিকেলে মদনগঞ্জ এলাকায় বৃক্ষ মালিকরা গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।

বৃক্ষ মালিক পক্ষের লোকজন জানায়,দীর্ঘ ২৭ বছর আগে তারা তাদের লীজপ্রাপ্ত জায়গার উপর বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে। ২৭ বছরে গাছগুলো বড় হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে সওজ’র নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ অপারেশন পূর্বাঞ্চল মিরপুর সারাদেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি মদনপুর হতে মদনগঞ্জ পর্যন্ত (২লাখ ৫৮হাজার ৫শ’৩২টাকায়) ৫৬৭টি গাছের টেন্ডার লাভ করে জনৈক ফারুক হোসেন। টেন্ডার পেয়ে সে সাব-ঠিকাদার  হিসেবে আল আমিনকে নিয়োগ দেয়।

আল আমিন সিডিউল উপেক্ষা করে মদনপুর থেকে মদনগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে সমস্ত গাছ মনগড়াভাবে কেটে সাবাড় করছে। বিষয়টি জানতে পেরে মদনগঞ্জ মাহমুদনগর হতে ট্রলার ঘাট নদীর পাড় পর্যন্ত সমস্ত বৃক্ষ কোনপ্রকার খোদাই মার্ক ছাড়াই নিধন করে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক বৃক্ষ মালিক জানান, আমি অনেক কষ্টে আমার লীজ নেয়া জায়গার উপর গাছগুলো লাগিয়েছি। নিয়মিত যতœ করেছি অথচ টেন্ডারের নামে কিছু লোক সমস্ত গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমি আমার গাছ ফেরত চাই।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমার গাছ আমাকে বুঝিয়ে দেয়া হোক। এ সংক্রান্তে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান,সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী টেন্ডারে পরিস্কারভাবে বলা আছে নির্ধারিত গাছ ব্যতিত অন্য গাছ কাটা হলে তার ক্ষতিপূরণ ঠিকাদারকেই বহন করতে হবে। সুতরাং ফরেষ্ট অফিসারের সঙ্গে আলাপ করে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ দিকে গাছ কাটার বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাব-ঠিকাদার আল আমিন বলেন,স্যার আমি আপনার সাথে দেখা করবো। কবে কোথায় কখন দেখা করতে হবে বলে দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here