না’গঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক আহবায়ক জাহের এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া অনুষ্ঠিত

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মিজানুর রহমান বন্দর সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক আহবায়ক আবুল জাহের এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১৩ আগস্ট পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকায় অবস্থিত নাসিম ওসমান মডেল হাইস্কুল মাঠে এমপি সেলিম ওসমানের উদ্যোগে উক্ত দোয়া মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত নেতারা মরহুম আবুল জাহের এর স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। দোয়ায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, জাহের ভাই আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের ডান হাত ছিলেন। এরপর আমার সাথে কাজ করেছেন। উনার একটা ভাল গুন ছিল। উনি কখনো কান কথা লাগাতেন না। কেউ কোন ভুল করলে সেটা আমার কান পর্যন্ত যেন না আসে তাই তিনি নিজেই সেটা সমাধানা করে ভুলটাকে শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করতেন সব সময়।

তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যার মাধ্যমে অনেক অসাধ্য কাজ সাধন করতে পেরেছি। এই মানুষকে ছাড়া আমি এক বছর কাজ করছি এটা ভাবতেই পারছিনা। উনার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানে কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। কিন্তু আজ এখানে কত মানুষ উপস্থিত হয়েছে। আওয়ামীলীগ, বিএনপি জাতীয় পার্টি সহ সব দলের লোকই উপস্থিত হয়েছেন। এটা জাহের ভাই এর প্রতি সকলের ভালবাসার বহিপ্রকাশ। আজকে এই স্কুল মাঠে উনার জন্য দোয়া করা হচ্ছে। এই স্কুলটা বানাতে আমার কোন অবদান নেই।

আমি শুধু অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেছি। জাহের ভাই শ্রম দিয়ে স্কুলটিকে দাড় করিয়েছেন। আজকে সেই স্কুলে ১৬ মাস যাবত আমার নাতি-নাতনিরা আসতে পারছেন না। করোনার কারনে। জাহের ভাই সব সময় ভবষ্যিত প্রজন্মকে নিয়ে চিন্তা করতেন। এমপি সেলিম ওসমান আরো বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কায় অনেক মানুষের না খেয়ে দিন গেছে। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আরো কঠিন আকার নিয়েছে। এরপরও কি আমরা ভাল হয়েছি? আমাদের মাঝে ইমান আনতে পেরেছি? পত্রিকার পাতা খুললে দেখা যায়, হুজুর থেকে শুরু করে নায়িকা পর্যন্ত নানান অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। আমাদের মাঝে ইমান আনতে হবে।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অতি উৎসাহি হবেন না। নির্বাচনে মার্কা কি এটা বড় কথা নয়। আপনারা মানুষের জন্য কাজ করুন, মানুষকে ভালবাসুন মানুষ আপনাদের ভালবাসবে। আজকে জাহের ভাইয়ের এই দোয়া অনুষ্ঠান তারই প্রমান করে। আবুল জাহের এর স্মৃতিচারন করতে গিয়ে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন বলেন, জাহের ভাই ছিলেন নদীর পূর্বপাড়ের একজন অ্যাসেট। এমন লোক নদীর পূর্ব পাড়ে আর জন্মাবে কিনা আমার জানা নাই। সবাই জাহের ভাই এর জন্য দোয়া করবেন উনি যেন বেহেস্তবাসী হয়।

বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল স্মৃতিচারন করতে গিয়ে বলেন, যদিও আমরা দুইজন দুই দল করতাম দেশের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে আমি আর জাহের ভাই দীর্ঘদিন একত্রে কাজ করেছি। আমাদের মাঝে কখনো কোন বিরোধ হয়নি। যদিও অনেকে অনেক কথা বলতেন কিন্তু এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশনা মেনেই আমরা একত্রে কাজ করেছি। সব সময় ভাল কাজকেই প্রাধান্য দিতেন জাহের ভাই। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।

মরহুম আবুল জাহের এর বড় ছেলে সোহান সকলের প্রতি তাঁর মরহুম বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেন। সেই সাথে এমপি সেলিম ওসমান ও এমপি শামীম ওসমানের সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক আকরাম আলী শাহীন এর সঞ্চালনায় দোয়া পূর্বক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, পুরান সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন।

আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আফজাল হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া, বন্দর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাবা, সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, শহর যুবসংহতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিপন ভাওয়াল, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ সহ আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here