না.গঞ্জ বন্দরে ছদ্মবেশে দেড় কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর থেকে ৪৭ হাজার ৩২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১১। শনিবার ২১ মার্চ রাত ২.৩০ মিনিটে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। মাদক বিক্রির নগদ ১২,৭০০/- টাকা উদ্ধার করা হয় । ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত একটি নোহা মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার।

তিনি জানান, গোপনসূত্রে জানা যায় কক্সবাজারের এক ইয়াবা পাচারকারী চক্র মাইক্রোবাসযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল ২১ মার্চ রাতে মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছদ্মবেশে অবস্থান নেয়। রাত ০২.৩০ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশনে থামে এবং সন্ধিগ্ধ ২জন লোক মাইক্রোবাস থেকে ২টি পোটলা গ্রহণ করার সময় হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের নাম ১। মোঃ জামাল হোসেন(৩১) ও ২। মোঃ তানভীর হাসান(৩৪) বলে জানায় এবং তাদের দখল থেকে উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর ১০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহভাজন মাইক্রোবাসটি পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাবের আভিযানিক দল ব্যারিকেড দিয়ে মাইক্রোবাসটি আটক করে। মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা সন্ধিগ্ধ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম(২০) ও মোঃ জামাল উদ্দিন(৩২)। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করে পেছনের শাটার দরজার প্যাডের ভিতরে রাখা ৩৭ হাজার ৩২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম বাড়ি কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ইসলামপুর ও মোঃ জামাল উদ্দিন এর বাড়ি চকরিয়া থানাধীন ভরামহরী এলাকায় এবং মোঃ জামাল হোসেন ও মোঃ তানভীর হাসানের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানাধীন মশাং ও বাবরখানা এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাসে অভিনব কৌশলে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা আনয়ন করে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

এছাড়াও তারা বরিশাল অঞ্চলেও নিয়মিত ইয়াবা সরবরাহ করত। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে এবং তাদের একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here