প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বন্দরে খাস জমি দখল: মুন্সিগঞ্জের এসি ল্যান্ডের জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসিল্যান্ডে গিয়ে কাগজ দেখেন, গণমাধ্যমকে হুমকি দখলদারের নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ বন্দরের বারইপাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে, ছালেনগর রোডে সরকারি খাস জমি জোরপূর্বক ভরাট করে দখলের অভিযোগ উঠেছে জৈনক ব্যক্তি ও তার মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মেয়ের জামাই কায়েস বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে।
৬৬ শতাংশ খাস জমি সম্পূর্ণ দখল করে নেওয়ায় স্থানীয় জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ছালেনগর রোড সংলগ্ন বারইপাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে দীর্ঘ দিন ধরে খাস হিসেবে পড়ে থাকা ৬৬ শতাংশ জমি সম্প্রতি মালেক এবং তার মেয়ের জামাই কায়েছ মাটি দিয়ে ভরাট করে পুরোপুরি দখল করে নিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, এই সম্পত্তি সরকারি খাস জমি হিসেবে পরিচিত। একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আত্মীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এই অবৈধ দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন।
গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালেকের সঙ্গে কথা বললে তিনি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেন। মালেক দাবি করেন, তারা সম্পত্তিটি একজন হিন্দু মালিকের কাছ থেকে বৈধভাবে ক্রয় করেছেন। তিনি এবং তার স্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে কাগজপত্রের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। মালেক সাংবাদিকদের বলেন,”আপনারা এসিল্যান্ড কার্যালয়ে গিয়ে কাগজপত্র দেখেন। প্রয়োজনে আমার কাছ থেকে রিকশা ভাড়া নিয়ে যান।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে মালেক কার্যত সাংবাদিকদের প্রশাসনিক দপ্তরে গিয়ে তার দাবির সত্যতা যাচাই করার ইঙ্গিত দেন এবং একই সাথে পরিস্থিতি নিয়ে তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেন বলে মনে করছেন অনেকে। দখল প্রক্রিয়ায় যার নাম মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে, সেই কায়েছ হলেন মালেকের মেয়ের জামাই। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কায়েছ একসময় ছাত্র লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) হিসেবে কর্মরত।
একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে সরাসরি খাস জমি দখলের অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এই দখল প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীর একাংশ। এলাকাবাসী মনে করেন, এই সম্পত্তি দীর্ঘ দিন ধরে খাস হিসেবে ছিল এবং হঠাৎ করে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জোরপূর্বক তা দখল করে নিয়েছেন।
এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এই ঘটনা সরকারি সম্পদ আত্মসাতের একটি উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, যা জনমনে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।





